স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জেল থেকে মুক্ত হয়ে আলভেজের পার্টি

পার্টিতে নাচছেন দানি আলভেস ও মেমফ্সি ডিপাই। ছবি : সংগৃহীত
পার্টিতে নাচছেন দানি আলভেস ও মেমফ্সি ডিপাই। ছবি : সংগৃহীত

থার্টি ফাস্ট নাইটের পার্টিতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হয় ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দানি আলভেজ। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এ জন্য জমা দিতে হয় জামানত। জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও সেই পার্টি করেছেন ব্রাজিলিয়ান এ ডিফেন্ডার।

স্থানীয় সময় ভোর পর্যন্ত চলে সেই পার্টি। আলভেজের বাড়িতে ফেরার উপলক্ষে আয়োজিত এ পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা। পার্টিতে উপস্থিতি থাকা একজন বলেছেন, সেদিন ছিল আলভেজের বাবার জন্মদিন। তাই পার্টিটি রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হয়।

এর আগে গত সপ্তাহে দানি আলভেজকে জামিন দেয় বার্সেলোনার আদালত। এরপরও কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কারণ জামিনের শর্ত হিসেবে আদালতে ১০ লাখ ইউরো জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় মুক্তি মিলছিল না সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান তারকার।

অবশেষে জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে এতগুলো টাকা কোথায় পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা? বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন বলছে, আলভেজের বার্সেলোনার সতীর্থ মেম্পিস ডেপাই তাকে সহায়তা করেছেন।

এর ফলে ডাচ এই ফুটবলারের সহযোগিতায় আটকের ১৪ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হলেন দানি আলভেজ। যদিও আর্থিক সংকট না থাকলে আগেই মুক্তি পেতে পারতেন। তবে ৪৩টি ট্রফি জয়ী এই ফুটবলারের আর্থিক সংকটে পড়ার কারণ কিন্তু অনেক।

স্প্যানিশ গণমাধ্যমকে আলভেজের আইনজীবী জানিয়েছে, স্পেনে তার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এর একটিতে কোনো টাকা নেই, অপরটিতে আছে ৫১ হাজার ইউরো। এর মধ্যে ৫০ হাজার ইউরো জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ব্রাজিলের অ্যাকাউন্টেও একই অবস্থা তার। নিজ দেশেও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে জামিনের অর্থ জোগাড়ের মতো অবস্থায় ছিল না আলভেজের। এর আগে বিচারকার্য চলাকালে আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারীকে দেড় লাখ ইউরো দেন তিনি।

সেবার ধার নেওয়া হয় নেইমারের বাবার কাছ থেকে। অনেকের ধারণা ছিল জামিনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে নেইমারের পরিবার। তবে নেইমারের বাবা, নেইমার সিনিয়র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলভেজ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ বিষয়ে তিনি বা তার পরিবার আর জড়াবেন না। সব মিলিয়েই বুধবার (২০ মার্চ) জামিন পেলেও জেল ছাড়া পেলেন পরের সপ্তাহের মঙ্গলবার।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বার্সেলোনার পুলিশ। গত মাসে সাড়ে চার বছরের জন্য দণ্ডিত হন তিনি।

রায়ের পর আলভেজের আইনজীবী সাজা মওকুফ চেয়ে আর প্রসিকিউটর ৯ বছরের সাজা চেয়ে আপিল করে। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন পান আলভেজ। এ সময়ে তাকে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতে থাকতে বলা হয়।

এ ছাড়া বিচার প্রভাবিত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাকে। আর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক হাজার মিটার দূরে থাকতে বলা হয়েছে আলভেজকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেসি যাচ্ছেন না বার্সার অনুষ্ঠানে

‘শিবিরের নামে যে অপপ্রচার চালানো হয় তা ভিত্তিহীন’

ড্রেনের ওপর ঢালাই দিয়ে রাস্তা বৃদ্ধি

অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৫

অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক ইতিহাস নির্ধারণের আহ্বান মঈন খানের

ফার্মগেটে ব্যাংকের বেজমেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

জাতীয়র আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরামর্শ

মেসির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনায় মায়ামি

‘একটা মূর্তি বানাতে হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে’

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকাকে ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত

১০

কদমতলীতে ঘরে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

১১

কায়কোবাদ-তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের

১২

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল ৩ শিক্ষার্থীর

১৩

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, বাংলাদেশেও চাপে পড়তে পারেন আদানি

১৪

হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করার উপায়

১৫

৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

১৬

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ / এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ

১৭

সুমনের হ্যাটট্রিকে রাজশাহীর লজ্জার রেকর্ড

১৮

রোববার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১৯

ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে চান পুতিন

২০
X