গত বুধবার দানি আলভেজকে জামিন দেয় বার্সেলোনার আদালত। এরপরও কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কারণ জামিনের শর্ত হিসেবে আদালতে ১০ লাখ ইউরো জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় মুক্তি মিলছিল না সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান তারকার।
অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে এতগুলো টাকা কোথায় পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা? বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন বলছে, আলভেজের বার্সেলোনার সতীর্থ মেম্পিস ডেপাই তাকে সহায়তা করেছেন।
এর ফলে ডাচ এই ফুটবলারের সহযোগিতায় আটকের ১৪ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হলেন দানি আলভেজ। যদিও আর্থিক সংকট না থাকলে আগেই মুক্তি পেতে পারতেন।
তবে ৪৩টি ট্রফি জয়ী এই ফুটবলারের আর্থিক সংকটে পড়ার কারণ কিন্তু অনেক। স্প্যানিশ গণমাধ্যমকে আলভেজের আইনজীবী জানিয়েছে, স্পেনে তার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এর একটিতে কোনো টাকা নেই, অপরটিতে আছে ৫১ হাজার ইউরো। এর মধ্যে ৫০ হাজার ইউরো জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ব্রাজিলের অ্যাকাউন্টেও একই অবস্থা তার। নিজ দেশেও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে জামিনের অর্থ জোগাড়ের মতো অবস্থায় ছিল না আলভেজ। এর আগে বিচারকার্য চলাকালে আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারীকে দেড় লাখ ইউরো দেন তিনি।
সেবার ধার নেওয়া হয় নেইমারের বাবার কাছ থেকে। অনেকের ধারণা ছিল জামিনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে নেইমারের পরিবার। তবে নেইমারের বাবা, নেইমার সিনিয়র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলভেজ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ বিষয়ে তিনি বা তার পরিবার আর জড়াবেন না। সব মিলিয়েই বুধবার (২০ মার্চ) জামিন পেলেও জেল ছাড়া পেলেন পরের সপ্তাহের মঙ্গলবার।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বার্সেলোনার পুলিশ। গত মাসে সাড়ে চার বছরের জন্য দণ্ডিত হন তিনি।
রায়ের পর আলভেজের আইনজীবী সাজা মওকুফ চেয়ে আর প্রসিকিউটর ৯ বছরের সাজা চেয়ে আপিল করে। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন পান আলভেজ। এ সময়ে তাকে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতে থাকতে বলা হয়।
এ ছাড়া বিচার প্রভাবিত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাকে। আর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক হাজার মিটার দূরে থাকতে বলা হয়েছে আলভেজকে।
মন্তব্য করুন