ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত দানি আলভেজকে বুধবার (২০ মার্চ) জামিন দেয় বার্সেলোনার আদালত। তবে এরপরও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে জামিনের জন্য শর্ত হিসেবে আদালতে ১০ লাখ ইউরো জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় মুক্তি মিলছে না আলভেজের। কিন্তু কেন?
২০০১ সালে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। খেলেছেন ইউরোপের সেরা সব ক্লাবে। ১৬ বছর খেলেছেন ব্রাজিলের জাতীয় দলে। দলগত ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ঠাসা তার ক্যারিয়ার। এরপর কারামুক্ত হতে জোগাড় করতে পারছেন না ১০ লাখ ইউরো।
ক্লাব ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন স্পেনের বার্সেলোনায়। এই শহরে তার সম্পদও অনেক। এরপরও একাধিক কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমকে আলভেজের আইনজীবী জানিয়েছে, স্পেনে তার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এর একটিতে কোনো টাকা নেই, অপরটিতে আছে ৫১ হাজার ইউরো। এর মধ্যে ৫০ হাজার ইউরো জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্রাজিলেও একই অবস্থা। নিজ দেশেও তার অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে জামিনের অর্থ জোগাড়ের মতো অবস্থা নেই আলভেজের। এর আগে বিচারকার্য চলাকালে আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারীকে দেড় লাখ ইউরো দিতে হয়েছে আলভেজের।
সেই অর্থ ধার নেওয়া হয় নেইমারের বাবার কাছ থেকে। অনেকের ধারণা ছিল জামিনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে নেইমারের পরিবার। তবে নেইমারের বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলভেজ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর পরিবার আর জড়াবেন না। সব মিলিয়েই বুধবার জামিন পেলেও জেল থেকে বের হতে পারেননি আলভেজ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। দ্রুত গ্রেপ্তার হন তিনি। গত মাসে সাড়ে চার বছরের জন্য দণ্ডিত হন আলভেজ।
রায়ের পর আলভেজের আইনজীবী সাজা মওকুফ চেয়ে আর প্রসিকিউটর নয় বছরের সাজা চেয়ে আপিল করেন। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন পান আলভেজ। এ সময়ে তাকে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতে থাকতে বলা হয়।
এ ছাড়া বিচার প্রভাবিত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাকে। আর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক হাজার মিটার দূরে থাকতে বলা হয়েছে আলভেজকে।
মন্তব্য করুন