সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ফলে দীর্ঘ সময় পর দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলীয় আসরের সেমিফাইনালে খেলেন জামাল-তপুরা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে পরের ম্যাচে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন।
এ জন্য আবারও ক্যাম্পের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফে। সৌদির তায়েফ শহরের কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটিতে নিজেদের প্রস্তুতি সারছে বাংলাদেশ দল।
ফিলিস্তিনের ম্যাচে আগে প্রধান কোচের চাওয়া মতো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। আফ্রিকার দল সুদানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজরা।
তিনদিন আগে প্রথম ম্যাচে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৬ এগিয়ে সুদানকে রুখে দিয়েছিল হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সুদানের মুখোমুখি হয় জামাল ভুঁইয়ারা।
এ ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত সুদানের কাছে ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা-ফিফা স্বীকৃত ম্যাচ না হওয়ায় রুদ্ধদ্বার ম্যাচ খেলে দুদল।
যদিও এ ম্যাচের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি দুই দেশের ফেডারেশন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় দলের একাধিক সূত্র। এ দিকে জানা যায়, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে স্কোয়াডের প্রায় সকল ফুটবলারকে মাঠে নামিয়েছিলেন প্রধান কোচ কাবরেরা। লক্ষ্য শিষ্যদের যাচাই করে নেওয়া।
এ ম্যাচের প্রতিক্রিয়ায় কাবরেরা বলেন, ‘সুদানের মতো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা আরও একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেললাম। শারীরিক শক্তিতে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এরপরও দলের সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করেছে। আমি মনে করি এই দুটি ম্যাচ থেকেই আমাদের ইতিবাচক অনেক কিছু মিলেছে।’
এ সময় তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনির বিপক্ষে নামতে প্রস্তুত তার দল, ‘শারীরিক শক্তির তুলনায় সুদান আর ফিলিস্তিন প্রায় কাছাকাছি। তাই প্রস্তুতি ম্যাচ দুটো আমাদের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। তবে বলতে পারি, আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছি। এবং আগে যেমন খেলতাম তার তুলনায় এখন আরও ভালো খেলছি। ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আমরা এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’
এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু হোম ভেন্যুতে লেবাননকে রুখে দেয় জামালরা। পরের ম্যাচে আগামী ২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২৬ মার্চ একই প্রতিপক্ষকে ঘরের মাঠ কিংস এরেনায় আতিথ্য দেবে লাল-সবুজরা।
মন্তব্য করুন