বার্সালোনায় লিওনেল মেসি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর ক্লাবটির সোনালি অতীতও যেন অনেকটা ফিকে হয়ে গিয়েছে। মেসি কাতালান ক্লাবটি ছাড়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগেও তারা তেমন একটা ভালো করতে পারছিলো না। এমনকি বার্সেলোনাকে ইউরোপের দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগও খেলতে হয়েছে।
অবশেষে স্পেনের অন্যতম বিখ্যাত ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ননিস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করলো। তাও আবার ইতালির শক্তিশালি দল নাপোলিকে হারিয়ে। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে এটাই বার্সার সবচেয়ে বড় সাফল্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে নাপোলিকে হারিয়েছে বার্সা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।
ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে প্রথম লেগটা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। অলিম্পিক লুই কোম্পানিস স্টেডিয়ামে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরটা বার্সেলোনা ৩-১ বানিয়ে ফেলে ম্যাচের ১৭ মিনিটের মধ্যেই। ১৫ মিনিটে বার্সা উইঙ্গার ফারমিন লোপেজের গোলের দুই মিনিট পরেই আবার নাপোলির জালে বল পাঠান কানসেলো।
শুরু থেকে ওই দুই গোল পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রনও ছিল বার্সার হাতেই। কিন্তু দুই গোল করার পর হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলে বার্সা। এই সুযোগে ৩০ মিনিটে সেন্টার ব্যাক আমির রাহমানির গোলে ব্যবধান কমায় নাপোলি। ম্যাচের স্কোর তখন বার্সা ২- নাপোলি ১।
গোল খাওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রনও হারিয়ে ফেলে বার্সা, তবে সুযোগটা নাপোলি নিতে পারেনি ফিনিশিং ভালো না হওয়ায়।
এই ম্যাচে আরেকজনের ওপর বিশেষ নজর ছিল, ওসিমেনের মতো প্রথম লেগে গোল পাওয়া রবার্ট লেভানডফস্কি। কিন্তু নাপোলি নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের মতো হতাশ করছিলেন বার্সার পোলিশ স্ট্রাইকারও।
তবে শেষ পর্যন্ত একেবারে খালি হাতে ফিরতে হয়নি লেভাকে। ৮৩ মিনিটে সার্জি রবার্তোর পাস থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন ৩৫ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার।
মন্তব্য করুন