ফুটবলারদের কুকর্মের গল্প নতুন নয়। যুগে যুগে এমন অনেক তারকা ফুটবলার নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে ধুলায় মেশান নিজেদের সুনাম। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো দানি আলভেজের নাম। দুর্দান্ত ডিফেন্ডার-সফল দলনেতা হয়ে ওঠা আলভেজ ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে শাস্তি পেলেন ধর্ষণের অভিযোগে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় স্পেনের আদালত। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগী নারীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো দিতে হবে তার।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে তার। তবে শাস্তি কতটুকু কমবে তা নিশ্চিত নয়। আলভেজের আগে একই কাণ্ডে শাস্তি পান ব্রাজিলের আরেক তারকা ফুটবলার। দারুণ প্রতিভার অধিকারি সেই ফুটবলারের নাম রবিনহো। যাকে বলা হতো কিংবদন্তির পেলের যোগ্য উত্তরসূরি।
শৈশবে দুর্দান্ত প্রতিভা দিয়ে রবিনহো জায়গা করে নেন পেলের সাবেক ক্লাব সান্তোসে। এই ক্লাবে শুরু করেন পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার। ২০০৫ সালে যোগ দেন ইউরোপের অন্যতম সফর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর মধুর সময় কাটান ম্যানচেস্টার সিটি, এসি মিলানে। ফিরে যান নিজ দেশের ক্লাবে।
অ্যাথলেটিকো মিনেইরোতে যোগ দেওয়ার পরই ব্রাজিলিয়ান তারকার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে। ররিনহোর বিরুদ্ধে ইতালির মিলানের একটি নাইট ক্লাবে এক আলবেনিয়ান নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ বছরের জেল দেওয়া হয় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। এরপর আর আলোচনো ছিলেন না বরিনহো। হারিয়ে যান অনেকটা। একই কাণ্ডে আলভেজের শাস্তির পর আরও আলোচনায় আসলো তার নাম।
আলভেজ-রবিনহোর মতো আরও অনেক নামিদামি ফুটবলার ধর্ষণকাণ্ডে জড়িয়ে হয়েছেন কারাগারের বাসিন্দা। একই কাণ্ডে ইল্যান্ডের অ্যাডাম জনসনের ছয় বছর, ওয়েলসের ইভান্সের ৫ বছর আর ইংলিশ আরেক ফুটবলার গ্রাহামের সাজা হয় এক বছরের।
আবার কেউ কেউ হত্যা, মদকাণ্ড, জুয়ার ভয়ংকর অপরাধ করে কারাগারে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। সেই আলোচনায় সামনে চলে আসে আরেক ব্রাজিলিয়ানের নাম। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা রোনালদিনহো।
ফুটবলীয় প্রতিভা আর দক্ষতা দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন কোটি কোটি দর্শকদের। বার্সেলোনার সোনালি সময়ের অন্যতম সারথী তিনি। শেষ জীবনে নানা বিতর্কে জড়িয়ে তাকে যেতে হয় ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে যেতে হয় জেলে।
এমন আরেক কিংবদন্তির নামও চলে আসে। তিনি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে বেশ কয়েকবার যেতে হয় আদালতে চত্বরে। তাই তো জীবনের শেষ সময়টা ভালোভাবে কাটাতে পারেননি বিশ্বকাপজয়ী এই মহানায়ক।
মন্তব্য করুন