লিওনেল মেসির হংকংয়ে না খেলা নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে হংকংয়ে মেসির মাঠে না থাকা নিয়ে বিতর্ক খেলা পেরিয়ে চলে গেছে রাজনীতির ময়দানে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার তারকার হংকংয়ের মাটিতে না খেলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছে স্বয়ং হংকং এবং চীন সরকার। মাংসপেশির ইনজুরিতে হংকংয়ে মাঠে নামেননি মেসি। তবে এরপরই জাপানে গিয়ে ভিসেল কোবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন।
আর হংকংয়ে না নামলেও জাপানে নামার ব্যাপারটি ভালোভাবে নেয়নি হংকং সরকার। তাদের দাবি, লিওনেল মেসি অন্তত ৪৫ মিনিট খেলবেন, এমনটাই ছিল ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তাদের চুক্তি। তবে ইনজুরি সেটা হতে দেয়নি। এই কারণে আয়োজকদের পূর্ণ অর্থ না দেওয়ার কথাও তুলেছিল সরকারপক্ষ। সমস্যা এতই প্রকট আকার ধারণ করে, মেসি নিজে সংবাদ সম্মেলনে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।
এতটুকুই যথেষ্ঠ হতে পারত তবে ইন্টার মায়ামি নিজেই ছাইচাপা আগুন উসকে দিল। জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে ম্যাচে ঠিকই বদলি হিসেবে তারা নামালেন মেসিকে। এতেই চটেছে হংকং। কিংবদন্তি মেসিকে দেখতে টিকিটপ্রতি ন্যূনতম ১২৫ ডলার খরচ করেছিলেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। অনেকেই উড়ে গিয়েছেন চীন থেকে।
সবমিলিয়েই বেশ হতাশই হংকংয়ের দর্শক। দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন ব্যুরো তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চোটের কারণে মেসি হংকংয়ে খেলতে না পারায় ভক্তদের মতো তারাও ভীষণ হতাশ। এরপরেই জাপানে খেলার প্রসঙ্গ টেনে তাদের মন্তব্য, ‘তিন দিন পর মেসিকে জাপানে কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলতে দেখা গেল। সরকার আশা করছে, আয়োজক পক্ষ এবং দল এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেবে।’
চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস অবশ্য বেশ কড়াসুরেই মন্তব্য করেছে, ‘ইন্টার মায়ামি প্রাকমৌসুমে যে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন, তার মধ্যে শুধু হংকংয়েই মাঠে ছিলেন না মেসি। এমন সিদ্ধান্ত ইন্টার মায়ামি ও মেসির বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।’ তাদের মন্তব্য, মেসির না খেলার প্রভাব খেলার গণ্ডিও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তবে মেসি মাঠে থাকুক বা না থাকুক, প্রাক মৌসুমটা মোটেই ভালো যায়নি ইন্টার মায়ামির জন্য। মোট ৭ ম্যাচ খেলার কথা ছিল তাদের। ১৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ প্রীতি ম্যাচে মেসির শৈশবের ক্লাব নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের মুখোমুখি হবে তারা। এর আগের ৬ ম্যাচের ৫টিতে হেরেছে টাটা মার্টিনোর দল। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এমএলএসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে মেসি-সুয়ারেজের মায়ামি।
মন্তব্য করুন