বার্সেলোনার পানশালায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার দানি আলভেজ। স্পেনের আদালতে বিচার শুনানির শেষ দিনে সাবেক বার্সা ডিফেন্ডার দাবি করেন, শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে দুজনেরই সম্মতি ছিল।
গত সোমবার স্পেনের একটি আর্দালতে আলভেজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়। ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণী, সাক্ষী, পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞরা সাক্ষ্য দেওয়ার দুদিন পর বুধবার আদালতে নিজের বক্তব্য পেশ করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার। বার্সেলোনার আদালতে ভুক্তভোগী তরুণী এক ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আলভেজের সঙ্গে আমরা তিনজন নাচতেছিলাম। তার সঙ্গে অন্যদিকে যেতে বললে আমিও গিয়েছিলাম। সেখানে একটি বাথরুমে দুজনেই গিয়েছিলাম। কিন্তু বের হয়ে আসতে চাইলে আলভেজ বাধা দেন এবং হিংস্র হয়ে ওঠেন। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি চুল টেনে ধরে শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন।
নিজের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন আলভেজ। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘বাথরুমে আমরা দুজনেই উপভোগ করছিলাম। যদি সে চলে যেতে চাইত, তাহলে যেতেই পারত। কারণ, সে সেখানে থাকতে বাধ্য নয়। তাছাড়া আমি তাকে থাপ্পড় মারিনি কিংবা অপমান করিনি।’
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার ‘সাটন’ পানশালায় এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন আলভেজ। ঘটনার সপ্তাহ তিনের পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবেক বার্সেলোনা, পিএসজি ও জুভেন্টাস ডিফেন্ডার। এরপর থেকেই স্পেনে কারাবন্দি রয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
স্পেনের কৌঁসুলিরা বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে আলভেসের ৯ বছর কারাদণ্ড দাবি করেন। এ ছাড়া ভুক্তভুগী নারীর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বা ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
বিচারকাজ চলার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আলভেজের স্ত্রী জোয়ানা সাঞ্জ ও মা লুসিয়া আলভেজ। এ ছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকান ক্লাব পুমাস ইউএনএএম।
মন্তব্য করুন