যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের মৌসুম শুরুর আগে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি সারতে লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি খেলতে এসেছিল এশিয়ার দেশ হংকংয়ে। হংকংয়ের সেরা একাদশের বিপক্ষে ইতোমধ্যে প্রীতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। তবে হংকংয়ের ওই ম্যাচে ছিলেন না হংকংয়ের দর্শকদের মূল আকর্ষণ লিওনেল মেসি। দর্শকদের হতাশ করে এই ম্যাচে মেসি না খেলায় অবশ্য বেশ বিপাকেই পড়েছে ম্যাচটির আয়োজকরা। এই ম্যাচটির জন্য হংকং সরকারের দেওয়া যে অনুদান পেয়েছিল আয়োজকরা তাও কেটে রাখা হবে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইন্টার মায়ামির হয়ে হংকং একাদশের বিপক্ষে লিওনেল মেসি না খেলায় হতাশাই প্রকাশ করেছে হংকং সরকার। হংকং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হাইব্রিড প্রীতি ম্যাচে’ এক মিনিটও মেসিকে না খেলানোয় এই ম্যাচটির জন্য আয়োজকদের যে অনুদান দিয়েছিল সেখান থেকে অর্থ কেটে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে হংকং সরকার।
প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে থাকা দলটির সঙ্গে থাকলেও মেসি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ঠিক সেভাবে মাঠে নেই বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতেও সৌদি আরবের আল নাসরের বিপক্ষে ম্যাচেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে পাঁচ মিনিটের বেশি পাওয়া যায়নি।
তবে হংকংওয় মেসিকে খেলানোর ইঙ্গিতই দেন মায়ামি কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনো। ম্যাচটি দেখতে হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরাও খরচ করেছে বেশ। এএফপি জানায়, এক হাজার হংকং ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা) খরচ করে টিকিট কিনেছিলেন দর্শকরা। ৩৮ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম ছিল ভরা। কিন্তু যার খেলা দেখার জন্য তাদের উৎসাহ, সেই মেসিকে নামানোই হয়নি। খেলানো হয়নি লুইস সুয়ারেজকেও। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে দর্শকেরা ‘রিফান্ড’ চেয়ে আওয়াজ তোলেন। দর্শকদের হইচইয়ের পর ম্যাচশেষে মেসিকে না খেলানোয় তাদের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন মায়ামি কোচ।
ইএসপিএন জানিয়েছে, মেসি না খেলায় আয়োজক টেটলার এশিয়ার ওপর বেশ অসন্তুষ্ট হংকং সরকার। সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেসি না খেলায় সরকার ও ফুটবলভক্তরা আয়োজকদের কার্যক্রমে খুবই হতাশ। আয়োজকদের কাছে সব ফুটবলভক্ত ব্যাখ্যা পাওয়ার দাবি রাখে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, মায়ামি-হংকং একাদশ ম্যাচের জন্য হংকংয়ের মেজর স্পোর্টস ইভেন্টস কমিটি (এমএসইসি) ভেন্যু বাবদ ১০ লাখসহ মোট দেড় কোটি হংকং ডলার (১৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার) অনুদান দিয়েছিল। এখন আয়োজকদের প্রদেয় অর্থ কেটে নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে, ‘এমএসইসি আয়োজকদের সঙ্গে হওয়া শর্তাবলির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যার মধ্যে মেসি না খেললে তহবিলের পরিমাণ হ্রাস অন্তর্ভুক্ত।’
তবে চোটের কারণে মেসি ও সুয়ারেজের না খেলার বিষয়টি আয়োজকরা জানতেন না বলেও দাবি করে টেটলার এশিয়া। তারা এক বিবৃতিতে বলে, ‘সংবাদমাধ্যমে খবরে প্রকাশের পরও মেসি ও সুয়ারেজের না খেলা বিষয়ে ম্যাচের আগে কোনো তথ্যই জানত না টেটলার এশিয়া।’
মন্তব্য করুন