মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের দাবি শিগগিরই জেগে উঠতে পারে ‘জম্বি ভাইরাস’। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয় উত্তর মেরুর গলতে থাকা বরফের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে ৫০ হাজার বছরের পুরোনো এ ভাইরাস। যা বাতাসে ছড়িয়ে ঘটাতে পারে মহামারি।
কিন্তু কাতারে ছড়িয়ে পড়েছে জম্বি ফুটবল। অন্তত দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল সমর্থকদের দাবি তাদের জাতীয় দলের ফুটবলারদের মাধ্যমে ফুটবলে আবির্ভাব ঘটেছে জম্বি ফুটবলের। ফুটবলে জম্বি আগমণ কীভাবে, তা জানার আগে জানতে হবে জম্বি কী?
জম্বি শব্দটি মূলত হাইতিয়ান লোককাহিনি থেকে এসেছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে মৃতদেহকে পুনরুজ্জীবিত করাকে বলা হয় জম্বি। এদের দেহ জীবন্ত কিন্তু মস্তিষ্ক অচল বা মৃত। অনেক সময় ভাইরাসের কারণে সুস্থ মানুষ জম্বিতে পরিণত হয়। ভাইরাসের কারণে এদের শারীরিক এবং মানসিক কোনো অনুভূতি থাকে না। এ নিয়ে হলিউড এবং বিভিন্ন দেশে মুভি তৈরি হয়েছে।
এবার ফুটবলে কীভাবে এই জম্বির আগমন। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের যোগ করা সময়ে শেষ বাঁশি বাজার মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে পেনাল্টি পায় কোরিয়া। সেখান থেকে গোল করেন হাওয়াং হি-চ্যান।
ম্যাচে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার বক্সে বাঁ প্রান্তের মাথায় ফ্রি কিক পায় ক্লিন্সম্যানের দল। বাঁকানো শটে দক্ষিণ কোরিয়াকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন সন। এরপর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলারদের মরেও বেঁচে থাকা জম্বিদের সঙ্গে তুলনা করছেন ভক্তরা। তাদের দাবি, দলটি মরেও মরতে চাইছে না।
এটি বলার কারণও রয়েছে। এবারের এশিয়ান কাপে এ পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু শুধু একটি ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে জিততে পেরেছে তারা। সেটিও গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে।
এরপর টানা চার ম্যাচে হয় যোগ করা সময়ে, নয়তো অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। হার না মানার এই মানসিকতাকে মোটামুটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে তারা। এ কারণেই সমর্থকরা দক্ষিণ কোরিয়া দলের নাম দিয়েছেন জম্বি ফুটবল।
মন্তব্য করুন