পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। শতবর্ষীয় এই পেশাদার ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন মোনেম মুন্না-শেখ মোহাম্মদ আসলামের মতো বাংলাদেশের সেরা তারকা ফুটবলাররা। মঙ্গলবার সেই ক্লাবের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তার।
এ দিন লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয় সাফজয়ী এই ফুটবলারের। যদিও প্রথম ম্যাচে জয়হীন ছিলেন সানজিদা। ভারতীয় নারী লিগে স্পোর্টস ওডিশার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে তার ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের নিজস্ব মাঠে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা হল সানজিদার।
বিদেশের মাটিতে স্পোর্টস ওড়িশার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই মাঠে ছিলেন সানজিদা। খেলেছেন শেষ অবদি। যদিও বল পজিশনে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। শতকরা ৪৯ ভাগ ছিল তাদের দখলে। পুরো ম্যাচে তারা পোস্টে শট নিয়েছে চারটি। এর সবকটি নিয়েছেন আবার সানজিদা। অন্যদিকে ১৭ শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি ওড়িশা।
পুরো ম্যাচের প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার শিবানি কড়া মার্কিংয়ে রাখেন সানজিদাকে। দ্বিতীয়ার্ধে সতীর্থদের কাছ থেকে খুব বেশি বলের জোগান পাননি তিনি। ফলে সৃষ্টি করতে পারেননি গোলের সুযোগ।
এরপর ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে সানজিদা-সানজিদা বলে রব তুলেছিলেন সমর্থকরা। তাই তো এই ফুটবলারের কাছে একবারও মনেই হয়নি তিনি দেশের বাইরের কোনো লিগে খেলছেন।
বিদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ বলে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগার কথা। সেই তুলনায় তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুশি ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। ম্যাচ ড্র হলেও মাঠে সানজিদার পারফরম্যান্স ছাপ রেখেছে দর্শকের হৃদয়ে।
এক ক্লাব কর্মকর্তারা জানান সানজিদাকে নিজের মতো করে খেলতে দেওয়া উচিত। ফুটবলীয় সবগুণ রয়েছে তার। নতুন পরিবেশ-নতুন কন্ডিশনে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় তো লাগবে।
প্রথম বাংলাদেশ নারী ফুটবলার হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সি জড়িয়েছেন তিনি। যা দেশের নারী ফুটবলে বিশাল মাইলফলক। শুধু তাই নয় সানজিদা ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র বিদেশি ফুটবলার।
আগামী সোমবার কিকস্টার্ট এফসির বিপক্ষে লড়বে ইস্টবেঙ্গল। সেই দলে খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সেই ম্যাচে জাতীয় দলের সতীর্থ ও অধিনায়কের মুখোমুখি হবেন সানজিদা।
মন্তব্য করুন