২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় স্পেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে স্প্যানিশ ফুটবলার জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচিত হন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সেই সময়ের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই কাণ্ডের পর গত সেপ্টেম্বরে সভাপতির পদও ছাড়তে হয় তাকে।
এতোদিনি এই বিষয় নিয়ে সে রকম আলোচনা না হলেও আবারও ঘটনাটা সামনে এসেছে তবে এবার খুব সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছেন না রুবিয়ালেস। শাস্তির আয়তায় আসতে হচ্ছে তাকে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার স্পেনের অদিয়েন্সিয়া ন্যাসিওনাল আদালতের বিচারক ফ্রান্সিসকো দে হোর্হে বলেছেন, রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ ‘চুমুটা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ছিল না এবং কাজটা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল।’
গত বছরের ২০ আগস্ট সিডনিতে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফিফা নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়দের পদক বিতরণের সময় হাজারো ক্যামেরার সামনে ‘চুমুকাণ্ড’ ঘটানোর পর রুবিয়ালেস দাবি করেছিলেন, সেটি পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল। যদিও হারমেসো তা অস্বীকার করেছিলেন।
বিচারকের প্রস্তাব পক্ষে থাকায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানাতে পারবেন। এর পর বিচার কার্যক্রমের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
চুমুকাণ্ডের পর রুবিয়ালেসকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, সম্মতি না থাকার পরও চুমু খেলে সেটি যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হয় আর এমন অপরাধের শাস্তি জরিমানা থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল। ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরে মামলা করেন হারমেসো।
মন্তব্য করুন