গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন করিম বেনজেমা, নেইমার জুনিয়র, এনগোলো কঁন্তে, রবার্তো ফিরমিনো, সাদিও মানে, এমেরিক লাপোর্তেরা। সম্প্রতি পেট্রো ডলারের মোহ ছেড়ে আল ইত্তিফাক থেকে নেদারল্যান্ডসের আয়াক্সে গিয়েছেন জর্ডান হেন্ডারসন। দুদিন পর আল নাসরের ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তে জানিয়েছেন, প্রো লিগে সুখে নেই অনেক ইউরোপিয়ান ফুটবলাররা।
শনিবার (২০ জানুয়রি) স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস এমেরিক লাপোর্তের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্লাব সতীর্থ দাবি করেছেন, সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবলে ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন হচ্ছে।
২০২৩ সালে আগস্টে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আল নাসরে যোগ দিয়েছিলেন লাপোর্তে। সৌদি আরবের ক্লাবটিতে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন রোনালদো, সাদিও মানের মতো ফুটবলারদের। প্রো লিগে ৬ মাস ফুটবল খেললেও অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয় ২৯ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে একটি সাক্ষাৎকারে সিআরসেভেন বলেন, ‘ফরাসি লিগ ওয়ানের চেয়েও সৌদি প্রো লিগ অনেক ‘বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’। কিন্তু পরের দিনই রোনালদোর বক্তব্যের উল্টো সুরে কথা বলেছেন ক্লাব সতীর্থ এমেরিক লাপোর্তে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার অভিযোগ করেছেন, সৌদিতে ফুটবলারদের সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়া হয় না।
এএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপোর্তে বলেন, ‘ইউরোপের তুলনায় এখানে (সৌদি আরব) পার্থক্যটা অনেক বিশাল। সবথেকে বড় পার্থক্য হচ্ছে এখানে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা। তারা আমাদের জন্য বিষয়টি সহজ করতে পারেনি। যার জন্য অনেক ফুটবলার রয়েছে যারা অসন্তুষ্ট। আসলে তারা যে ধরনের যত্ন নিচ্ছে, তা আমার মতে অনেক কম।’
স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের কাজের সংস্কৃতি ইউরোপের মতো নয়। এখানে কাজের শর্ত ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অন্যদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খুব একটা জানি না। প্রো লিগের ক্লাবগুলো আপনাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু তারপর এখানকার জীবনযাপন অন্যরকম।’
মন্তব্য করুন