গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অন্যতম তারকা ছিলেন ওতাবেক ভালিজোনভ। দুই মাসের বকেয়া বেতন না পাওয়ায় ফিফার কাছে অভিযোগপত্র দেন উজবেকিস্তান ফরোয়ার্ড। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ক্লাবটিকে বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমান প্রিমিয়ার লিগের ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলছেন ওতাবেক। তিনি দাবি করেছেন দুই মাসের ১৭ হাজার ডলার বকেয়া রয়েছে শেখ জামালের কাছে। কিন্তু ক্লাবটি জানিয়েছে, ওতাবেক অগ্রিম সাড়ে ৮ হাজার ডলার দাবি করেছেন উজবেকিস্তান ফরোয়ার্ড। যে কারণে তিনি চলতি মৌসুমে ব্রাদার্সে যোগ দিয়েছেন।
ফিফার নিষেধাজ্ঞায় আপাতত বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে পারবে না শেখ জামাল ধানমন্ডি। ওতাবেক ভালিজোনভের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দেশীয় ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে। গত ১১ ডিসেম্বর শেখ জামালকে চিঠিযোগে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় ফিফা।
ফিফা চিঠিতে বলেছে, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে বকেয়া বেতন নিষ্পত্তির সুযোগ পাবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই সময়ের মধ্যে কোনো বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে না ক্লাবটি। কিন্তু মীমাংসা করতে ব্যর্থ হলে দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের খেলোয়াড় নিবন্ধনের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে ক্লাবটি। অভিযোগকারী পুনরায় আবেদন না করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে।
শেখ জামালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফিফার কাছে পাঠিয়েছি। ওতাবেক গত জুনে মায়ের অসুস্থতার কারণ জানিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। তখন লিগের ৩টি ম্যাচ বাকি থাকলেও মানবিক কারণে তাকে ছুটি দিই আমরা। সেসময় ১ মাসের বেতন অগ্রিম চেয়েছিলেন ওতাবেক। কিন্তু ১০ দিনের ছুটি শেষে ক্লাবে আর ফেরত আসেননি উজবেকিস্তান ফরোয়ার্ড। তাহলে কেন তাকে আমরা টাকা দেব?’