আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছ থেকে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশ্য শাস্তিটা আর্থিক জরিমানার ওপর দিয়েই যাচ্ছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ম্যাচে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি বাফুফেকে ৩০ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রা যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে।
অবশ্য বাফুফে যে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়বে সেই শঙ্কা অনেক আগে থেকেই ছিল। বাছাইপর্বের তিন ম্যাচের ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টই ইঙ্গিত দিচ্ছিল শাস্তির। তাদের রিপোর্টের কারনে শৃঙ্খলাজনিত বিষয়টি ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে ওঠে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি নানা পর্যালোচনার পর বাফুফেকে বড় এই আর্থিক শাস্তি দিল।
বাংলাদেশের প্রথম শাস্তি অবশ্য ফেডারেশনের দোষ নেই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের মালদ্বীপের মালেতে ম্যাচের জন্য প্রথম জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। ১২ অক্টোবরের সেই ম্যাচে দলীয় শৃঙ্খলা (৬ ফুটবলার ব্যক্তিগতভাবে) ভঙ্গের জন্য ৫ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানায় পড়েছে ফেডারেশন।
১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে ফিরতি লেগে হোম ম্যাচে সিকিউরিটি রুল ভঙ্গ করা হয়, গ্যালারিতে ফায়ার ওয়ার্কসের জন্য ১৪ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা হয়েছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের একপর্যায়ে দর্শক মাঠে প্রবেশ করেছিল।
১৭ অক্টোবরের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয়েছে ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে। এই ম্যাচেও নিরাপত্তার কমপ্ল্যায়েন্স, গ্যালারিতে ফায়ার ওয়ার্কসের কারণে এই ম্যাচে জরিমানা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য শাস্তি কমানোর জন্য ফিফার কাছে অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধে কাজে লাগেনি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ান অঞ্চলের ম্যাচগুলো শাস্তির আওতায় এনেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশও শৃঙ্খলা ভঙের শাস্তি পেয়েছে।
গতকাল এটা ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে জানিয়েছে। কিছু শাস্তি আপিলযোগ্য আবার কিছু আপিলযোগ্য নয়। বাংলাদেশের জরিমানার প্রেক্ষিতে আপিলের বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন