ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি মারিও জাগালো মারা গেছেন। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব গড়েছিলেন ৯২ বছর বয়সী সেলেসাও তারকা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে দেশপ্রেম, দৃঢ়তা এবং গৌরবের আরেক সমার্থক ছিলেন রেকর্ড পাঁচ ফাইনাল খেলে চারবার বিশ্বকাপ জেতা জাগালো।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে এক বিবৃতিতে জাগালোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেজ।
সিবিএফ সভাপতি বলেছেন, ‘জাগালো ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় কিংবদন্তিদের একজন। আমাদের ফুটবলের এই মহান নায়কের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের সদস্য এবং ভক্তদের প্রতি সংহতি জানাই সিবিএফ।
ব্রাজিলিয়ান ঘরোয়া লিগের কয়েকটি ক্লাবে খেলেছিলেন কিংবদন্তি জাগালো। এ ছাড়া দেশটির লিগে একাধিক দলের কোচের দায়িত্বেও ছিলেন ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। তারাও জাগালোর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা লিখেছে, ‘একজন নিবেদিত পিতা, একজন স্নেহময় দাদা, একজন যত্নশীল শ্বশুর, একজন অনুগত বন্ধু, একজন বিজয়ী পেশাদার এবং একজন মহান মানুষকে হারালাম আমরা।’
১৯৬৫ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন জাগালো। পরের বছরই রিও ডি জেনিরোর ফুটবল ক্লাব বোটাফোগোর হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ১৯৭০ মেক্সিকো বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব পান জাগালো। পেলে, জর্জিনহো, গেরসন, রবার্তো রিভেলিনো এবং তোস্তাওদের মতো তারকাদের নিয়ে দল গড়েন তিনি। ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথম তিনবারের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।
২০১২ সালে জাগালোর স্ত্রী আলসিনা দে কাস্ত্রো মারা যান। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে ‘প্রফেসর’ খ্যাত জাগালোর ব্যাপারে দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো বলেছেন, ‘তিনি তার প্রজন্মে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। চারবার বিশ্বকাপ জয়ের পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে তার ছাপ চিরস্থায়ী হয়ে গেছে।’
মন্তব্য করুন