পেটে ছুরির আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড এজেকিয়েল লাভেজ্জি। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা তারকাকে তার পরিবারের এক সদস্য ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটানার পর আহত লাভেজ্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উরুগুয়ের মালদোনাদো শহরে লাভেজ্জির ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর টিওয়াইসি স্পোর্টস ২০১৯ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান লাভেজ্জি। তারপর থেকে নিজের পরিবারসহ উরুগুয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলতে বিরাট ভূমিকা রাখেন লাভেজ্জি। আলবিসেলেস্তে জার্তিতে ৫১ ম্যাচে ৯ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, গতকাল (বুধবার) স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটায় মালদোনাদোতে এক পার্টি অনুষ্ঠানে ছিলেন লাভেজ্জি। সে সময় তার সঙ্গে পরিবার ও প্রেমিকা উপস্থিত ছিলেন। তবে পার্টিতেই পরিবারের কোনো এক সদস্য লাভেজ্জির পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে পেটে ও কলারবোনে আঘাত পান তিনি।
পেটে ছুরির আঘাতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন দেওয়া হয়। জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা লাভেজ্জিকে শহরের কান্তেগ্রিল সানাতোরিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০০৮ অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী তারকা।
লাভেজ্জির ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে তার পরিবার। পরিবার দাবি করেছে, লাভেজ্জিকে কেউ ছুরিকাঘাত করেনি। মূলত বৈদুত্যিক লাইট পরিবর্তন করতে গিয়ে মই থেকে পড়ে আহত হয়েছেন লাভেজ্জি।
উরুগুয়ের পত্রিকা এল অবজারভাদর জানিয়েছে, আর্থিক বিষয় নিয়ে ঝামেলার কারণে পরবিারের সদস্য লাভেজ্জির পেটে ছুরিকাঘাত করেছে। ছুরির আঘাতের পর কোনো একটি আসবাবপত্রের ওপর পড়লে কলারবোনে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
আর্জেন্টাইন ফুটবল ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেসকে দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন লাভেজ্জি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে অভিষেক গঠে ২০০৭ সালে। নিজের দেশের ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার নাপোলিতে যোগ দেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিতেও খেলেছন লাভেজ্জি। ২০১৫ সালে চীনের হুবেই চায়না ফরচুনে যোগ দেন তিনি। চার মৌসুম ফুটবল খেলে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানান লাভেজ্জি।
মন্তব্য করুন