ঢাকা আবাহনীকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর আসরটিতে এটি কিংসের টানা চতুর্থ ফাইনাল। আগের তিন ফাইনালের মধ্যে ২০২১ সালে আবাহনীর কাছে হেরেছিল দলটি। ২০১৮ ও ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা কিংস। দুই ফাইনালেই প্রতিপক্ষ ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ক্লাবটির প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। প্রথম সেমিফাইনালে ঐতিহ্যবাহী দলটি ১-০ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়েছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। বিরতির পর প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে হালের পরাশক্তিরা। ২০১৮ সালে ঘরোয়া শীর্ষ পর্যায়ে আত্মপ্রকাশের পর আবাহনীর বিপক্ষে এটি কিংসের সবচেয়ে বড় জয়। ২০২১ সালের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ৪ গোল করা বসুন্ধরা কিংস ম্যাচ জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। ম্যাচে প্রথম দুই গোল আসে আবাহনীতে খেলা তিন ফুটবলারের কল্যাণে। প্রথম গোল করেন গেল মৌসুমে আকাশি-হলুদদের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার সোহেল রানা। পরের গোল আসে ২০২১-২২ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে খেলা উইঙ্গার রাকিব হোসেন ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতোন গোমেজের সমন্বয়ে। ৪৮ মিনিটে মাঝ মাঠে এমেকা ওগবাহর কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া সোহেল রানা ডানদিকে মিগুয়েল ফেরেইরাকে পাস বাড়ান; এ ব্রাজিলিয়ানের পা ঘুরে আসা বল বক্সের সামনে থেকে জালে পাঠান সোহেলই (১-০)। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে রাকিব হোসেন বক্সের বাইরে বল ধরে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে বল ঠেলেন, ফাঁকা পোস্টে গোলের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন দোরিয়েলতন গোমেজ (২-০)। ৭৮ মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস থেকে মিগুয়েল ফেরেইরার হেড স্কোরলাইন ৩-০ করে। ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রবসন রবিনিয়োর লক্ষ্যভেদ আবাহনীর বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ে বসুন্ধরা কিংস।
মন্তব্য করুন