উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার মুজাফফর মোহামেডানকে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে তুললেন। সেনাবাহিনীকে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করেছে বসুন্ধুরা কিংসও। কিংসের দুই গোলের একটি করেছেন আরেক উজবেক ফুটবলার ববুরবেক ইউলদাশভ।
মোহামেডানের জয়টা অবশ্য সহজে আসেনি। কিক-অফের পর থেকে অধিপত্য বিস্তার করলেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছেন মুজাফফর। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে ক্ষিপ্র গতির ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন ২৮ বছর বয়সি এ মিডফিল্ডার। বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে খেলবে মোহামেডান।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা অধিপত্য বিস্তার করলেও গোলাম রাব্বানী ছোটনের সেনাবাহিনী সহজে ছাড় দেয়নি। মিগুয়েল ফেরেইরা, দোরিয়েলতোল গোমেজ, আসরোর গফুরভ ও ববুরবেক ইউলদাশভ সমৃদ্ধ কিংসের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল সেনাবাহিনীর রক্ষণ। প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণ রুখে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে গেছে সেনাবাহিনী দল।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় বসুন্ধরা কিংস। মিগুয়েল ফেরেইরার কর্নার থেকে ববুরবেক ইউলদাশভের হেড সেনাবাহিনীর এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার আগেই গোললাইন অতিক্রম করে (১-০)। এক গোলের লিড ধরে রেখে মাঝ বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির পর, ৬১ মিনিটে সমতায় আসে সেনাবাহিনী। সাদ উদ্দিনের স্কয়ার পাসে আসরোর গফুরভ ব্যাকপাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি কিংস গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ, বল কেড়ে নেওয়া রঞ্জু শিকদারের কাটব্যাক থেকে গোল করতে ভুল করেননি শাহরিয়ার ইমন (১-১)। আট দিনের ব্যবধানে ১৯ বছর বয়সি মেহেদি হাসান শ্রাবণের এটি ছিল দ্বিতীয় হাস্যকর ভুল। এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে দশম মিনেটে এ গোলরক্ষকের ভুলেই পিছিয়ে পড়েছিল বসুন্ধরা কিংস।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে জয়সূচক গোল পায় হালের পরাশক্তিরা। সাদ উদ্দিনের স্কয়ার পাস গোলমুখ খুলে দিয়েছিল, দোরিয়েলতন গোমেজ আলতো টোকা স্কোরলাইন ২-১ করায় মেহেদি হাসান শ্রাবণের করা ভুলের মাশুল দিতে হয়নি। সেমিফাইনালে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখী হবে বসুন্ধরা কিংস।
নারী জাতীয় দল ছেড়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহনের পর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটি ছিল সেনাবাহিনীর প্রথম হার। বিমানবাহিনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নেয় দলটি। ‘সি’ গ্রুপে মোহামেডানের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র দিয়ে মূল পর্ব শুরু। আরেক ম্যাচে ফরটিজ এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে সেনাবাহিনী।
ম্যাচ হারলেও দলের নৈপুণ্যে খুশি সেনাবাহিনী কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, ‘সেনাবাহিনী নামেই লড়াকু। প্রতিপক্ষ যে দলই হোক আমাদের লক্ষ্য ছিল লড়াই করার। বিদেশি ফুটবলার সমৃদ্ধ বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ছেলেরা সাধ্যর সেরাটা দিয়ে লড়াই করেছে, তাদের নিয়ে আমি গর্বিত।’
মন্তব্য করুন