চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং রিয়ালের সম্পর্ক যে কতটা গভীর তা বোঝা যায় ইউরোপ সেরাদের এই আসরে লস ব্লাঙ্কোসদের ইতিহাস দেখে। আসরের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা অন্য প্রতিযোগিতায় যে রকমই খেলুক না কেন চ্যাম্পিয়নস লিগে পুরোপুরি অন্য গ্রহের দল হয়ে যায় তারা। গতকাল রাতের ম্যাচে নাপোলিকে তারা বোঝাল চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল কি জিনিস? ৯ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেয়েও রিয়ালের কাছে বলতে গেলে এক প্রকার অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে ইতালির ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। বাকি ছিল গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান। সেটি করতে গিয়ে দারুন এক থ্রিলারের জন্ম দিয়ে ম্যাচ জিতল ১৪ বারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। শেষের আক্রমণে তারা নাপোলিকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে।
শুরুটা ভালোই করেছিল রদ্রিগো-জসেলুরা। কিন্তু দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে তাদের হতভম্ব করে দেয় সফরকারী নাপোলি। জিওভানি সিমিওনের গোলে ৯ মিনিটের মধ্যেই ১-০ গোলের লিড পায় তারা। অবশ্য এই গোলটি নিয়ে কিছুক্ষণ নাটকীয়তার তৈরি হয়েছিল। প্রথম দেখায় মনে হচ্ছিল গোলটা বুঝি সেভ করেছেন গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। কিন্তু রেফারি গোললাইন টেকনোলজির মাধ্যমে নিশ্চিত করে দেন বল অল্পের জন্য লাইন অতিক্রম করেছে।
গোল হজমের পর মাদ্রিদও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দুই মিনিট পর রদ্রিগোর গোলে সমতা আনে রিয়াল। ২২ মিনিটে আবার এই মৌসুমে বলেতে গেলে ফরোয়ার্ডের মতো খেলতে থাকা জুড বেলিংহ্যামের গোলে স্কোর ২-১ করে তারা। এই গোলে ১৬ ম্যাচে বেলিংহ্যাম করলেন ১৫ গোল। তাতে বিখ্যাত ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্টে প্রথম চারটি ইউরোপিয়ান ম্যাচেই গোলের দেখাও পেলেন তিনি।
ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার পর আরও চাপ বাড়ায় মাদ্রিদ। ৩১ মিনিটে আরেকটি গোলও হতে পারত। কিন্তু ব্রাহিম দিয়াজ বল মেরেছেন লক্ষ্যের বাইরে। তবে বিরতির পর সুযোগ পেয়ে নাপোলি জাল কাঁপিয়ে আবার ম্যাচে ফেরে। ৪৭ মিনিটে সমতা ফেরান আংগুইসা।
ম্যাচটা ড্রয়ের দিকেই মোড় নিচ্ছিল ঠিক তখন শেষ দিকে ঝলক দেখিয়ে ৪-২ গোলের জয় নিশ্চিত করে রিয়াল। ৮৪ মিনিটে একটি গোল করেন বদলি নিকো পাজ। ৯০+৪ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন আরেক বদলি জোসেলু।
এই জয়ে রিয়াল গ্রুপ পর্বে শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখেছে। ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। এই গ্রুপ থেকে নকআউট নিশ্চিত করতে নাপোলির শেষ ম্যাচে শুধু ড্র প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন