উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়ের ধারাতেই আছে আসরের ছয়বারের বিজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কোপেনহেগেনের পর তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষেও জয় নিয়ে ফিরেছে বাভারিয়ান জায়ান্টরা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতের প্রথম খেলায় ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে টমাস টুখেলের দল। একটি করে গোল করেছেন কিংসলে কোমান, হ্যারি কেইন ও জামাল মুসিয়ালা।
ইস্তান্বুলের রামস পার্কে চোট জর্জর দল নিয়েও ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। আর এদিকে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ড্রয়ে শুরুর পর ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় পায় গালাতাসারাই। এবার গ্রুপপর্বে প্রথম হারের স্বাদ পেল তুরস্কের দলটি।
চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনকে ছাড়া খেলতে নামা বায়ার্ন এগিয়ে যায় অষ্টম মিনিটেই। লিরয় সানের পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন কোমান।
গোল খাওয়ার পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে গালাতাসারাই। ক্লাবের সমর্থকদের স্বস্তি ফিরে ৩০তম মিনিটে। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মাউরো ইকার্দি। বক্সে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে বায়ার্ন অধিনায়ক জসুয়া কিমিখ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ৩৫তম মিনিটে কেইনের শট আটকান গোলকিপার। একটু পর ইকার্দির হেড উড়ে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও এই আর্জেন্টাইনের শট অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় বায়ার্ন। ৬৩তম মিনিটে মুসিয়ালার বাড়ানো বল ধরে সানের শট ফিরিয়ে ম্যাচ ১-১ রাখেন গালাতাসারাইয়ের কিপার মুসলেরা।
৭৪তম মিনিটে আর পারেননি মুসলেরা। সতীর্থের পাস ব্যাক ফ্লিকে জাল খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন কেইন তবে ওতে গোল না হলেও ফিরতি বলে নিখুঁত শটে ঠিকই জালের দেখা পান এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৭৯তম মিনিটে ম্যাচ বলতে গেলে শেষ করে দেন মুসিয়ালা। কেইনের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। গোলরক্ষকের ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির গ্রুপপর্বে এই নিয়ে টানা ৩৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত (৩৪ জয় ও ৩ ড্র) রইল বায়ার্ন।
মন্তব্য করুন