একসময় একটা কথা প্রচলিত ছিল ফুটবল বিশ্বে। ব্রাজিলের সুপারস্টার হওয়ার সবচেয়ে বড় শর্ত হলো নামের সঙ্গে বিতর্ক থাকতে হবে। সাবেক গ্রেট সব ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের নারী, বান্ধবী কিংবা পার্টি, বিতর্ক ছাড়া জীবনটাই যেন অপূর্ণ। পাতো, রবিনহোর মত অনেক সম্ভাবনাময় ফুটবল প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটেছে কেবলমাত্র মাঠের বাইরের এসব বিতর্কের জন্য। এমনকি হালের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়রের নামের পাশেও আছে বিভিন্ন অপবাদ। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন আরেক তরুণ ব্রাজিলিয়ান অ্যান্তোনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা এই উইঙ্গারকে সম্ভাবনাময় প্রতিভা হিসেবেই বিচার করেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। তবে নারীঘটিত অপরাধে জড়িয়ে সেই ক্যারিয়ারকে অপমৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন তিনি। সাবেক প্রেমিকার অভিযোগে এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল থেকেও বাদ পড়েছেন। তার বদলে ডাক পেয়েছেন ইনজুরি ফেরত আর্সেনাল তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
অ্যান্তোনির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েলা ক্যাভালিন। ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারের বিরুদ্ধে বান্ধবীকে নিপীড়ন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার নাকি তাকে আঘাতও করেছেন ম্যান ইউনাইটেডের এই তারকা।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমের দেওয়া খবর অনুযায়ী, ক্যাভালিনের সঙ্গে ২০২১ সালে সম্পর্ক হয় আন্তোনির। ক্যাভালিনের গর্ভে এই ফুটবলারের সন্তানও এসেছে। ২০২২ সালের ১ জুন প্রথম ক্যাভালিনকে আঘাত করেন অ্যান্তোনি। ওই সময় ক্যাভালিনের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপর আরও বেশ কয়েকবারই এই নারীর ওপর চড়াও হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
অ্যান্তোনি দাবি করেছেন, তার সাবেক বান্ধবী বেশ কয়েকবার বিবৃতি বদলেছেন। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, দুপক্ষই একাধিকবার নিজেদের একে অন্যের বিপক্ষে মৌখিকভাবে চড়াও হয়েছেন। তবে শারীরিকভাবে আঘাতের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
অ্যান্তোনি তার ওপর আনা অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করলেও ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন একে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে। আগামী ৯ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বলিভিয়া ও পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দুটির স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে এবং এ ব্যাপারে যেহেতু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তাই ভুক্তভোগী, খেলোয়াড় ও ব্রাজিলিয়ান জাতীয় দলের স্বার্থে ফেডারেশন তাকে স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্য করুন