ফুটবল বিশ্বে আবারো নতুন চমক। রবার্তো মার্তিনেজকে হটিয়ে পর্তুগাল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন 'দ্য স্পেশাল ওয়ান' হোসে মরিনহো এমনটাই দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচের ডাগআউটে থাকা এই অভিজ্ঞ কোচকে নিয়ে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে দাবি করেছ তারা। আর সবকিছু ঠিকঠাক হলে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ফের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে একই দলের হয়ে কাজ করবেন মরিনহো।
রিয়াল মাদ্রিদে ২০১০ থেকে ২০১৩ — তিন মৌসুম ধরে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন রোনালদো-মরিনহো। সে সময় মাঠের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও, ডাগআউটের ভেতরে-মাঝে-মাঝে কিছু উত্তেজনাও ছিল। রোনালদো-মরিনহোর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধের খবর সে সময় শিরোনামও হয়েছিল।
তবে সময়ের সঙ্গে সবকিছু পাল্টে গেছে। এখন দেশের স্বার্থে, নিজেদের অভিজ্ঞতা আর সামর্থ্য কাজে লাগিয়ে পর্তুগালের ফুটবলে নতুন কিছু করতে মরিনহো প্রস্তুত। আর তার নেতৃত্বে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপটাও হয়ে উঠতে পারে আরও রঙিন।
পর্তুগিজ ফুটবলে মরিনহো এক কিংবদন্তি নাম। তবে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে এর আগে কখনো দায়িত্ব নেননি। এই প্রথমবার তার অভিজ্ঞতা ও কৌশলের ছোঁয়া পেতে চলেছে পর্তুগালের ড্রেসিংরুম।
অন্যদিকে, জাতীয় দলের বর্তমান কোচ রবার্তো মার্টিনেজের অধীনে দল নেশনস লিগের সেমিফাইনালে উঠলেও, ফেডারেশন নাকি বড় টুর্নামেন্টের আগে নতুন মুখ দেখতে চায়। তাই মরিনহোকে আনতে উদ্যোগ।
বিশেষ করে, মরিনহোর ডাগআউটের তীব্রতা, ম্যাচ রিডিং দক্ষতা আর বড় ম্যাচের জন্য মানসিক প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা — এই তিনটি দিকেই পর্তুগাল লাভবান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে মরিনহো এখনো ফেনারবাচের দায়িত্বেই আছেন। তুর্কি সুপার লিগে তার দল গালাতাসারাইয়ের থেকে তিন পয়েন্ট পিছনে রয়েছে। লিগের বাকি সাতটি ম্যাচই এখন মরিনহোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিরোপা জিতলে সেটা হবে তার ক্যারিয়ারের আরেকটি অর্জন।
তবে জাতীয় দলের ডাকে মরিনহো কত দ্রুত সাড়া দেবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। কারণ ফেডারেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নেশনস লিগের পরই বদল আনতে চায় তারা।
মরিনহো মানেই চমক। রোনালদো মানেই ইতিহাস। এই দুই তারকা যদি আবার একসঙ্গে পর্তুগালকে নেতৃত্ব দেন, তাহলে সেটি হতে পারে পর্তুগিজ ফুটবলের জন্য আরেকটি রূপকথার গল্প। ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে এ এক দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প হতে পারে।
মন্তব্য করুন