ক্ষুদে ভক্তের সাথে এমন গোমরামুখে সেলফিই বলে দেয় আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচের পর রিয়াল বসের মানসিক অবস্থা কেমন। বাইরে থেকে লাখো লাখো ফ্যান বার্নাব্যুতে কামব্যাকের অপেক্ষায় থাকলেও কার্লো আনচেলত্তি ঠিকই জানেন পথটা কতটা কঠিন? আর তাইতো ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তার কন্ঠে দেখা যায়নি তেমন কোনো আত্মবিশ্বাস।
একটা সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগাতে যেমন তেমন পারফর্ম্যান্স থাকলেও ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের এই মঞ্চে এসে রিয়াল ঠিকই দেখোনো নিজেদের আধিপত্য। কিন্তু সময় বদলেছে, এখন আর দেখা মেলে না সেই রিয়াল মাদ্রিদকে। সবশেষ আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচ রিয়ালের সেই চরম বাস্তবতা যেন সামনে এনেছে আরও একবার।
২০০৪ সালের পর থেকে রিয়াল কখনোই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে হারে নি। তবে ইতিহাস দিয়ে তো আর মাঠের খেলা হয় না। তাই আনচেলত্তির খুব একটা স্বস্তিরও সুযোগ নেই। ম্যাচ শেষ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সেমিফাইনালের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে শতভাগ চেষ্টার কোনো কমতি রাখার পক্ষেও তিনি নন।
বুধবার রিয়াল আর্সেনালের ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। আর্সেনালের একের পর এক আক্রমণে খুজেই পাওয়া যাচ্ছিল না রিয়ালকে। অবশেষ ম্যাচের ২০তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস একটা সুযোগ সৃষ্টি করলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ। তবে আসল নাটকীয়তা শুরু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। যেখানে রিয়াল কেবলই দর্শক।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ডেক্লান রাইস দারুণ এক বাঁকানো ফ্রি-কিকে প্রথম লিড এনে দেন আর্সেনালকে। পিছিয়ে পড়ে ফিরে আসার অনেক গল্পই আচে রিয়ালের। তবে এদিন আর সেই সুযোগ হজয় নি। বরং ম্যাচের ৭০ মিনিটে রাইসের আবারও এক ফ্রি-কিকে গোল। পুরো স্টেডিয়াম যেন তখন উল্লাসে মাতোয়াড়া।
রিয়ালের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মিকেল মেরিনো। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দুর্দান্ত শটে বল পাঠান রিয়ালের জালে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে শেষবার সেমিফাইনালে উঠেছিল আর্সেনাল। রিয়ালকে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আবারও একবার সেই স্বপ্নে বিভোর লন্ডনের ক্লাবটি। তবে সামনে এখনো আছে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ- সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ের ফিরতি লেগ।
মন্তব্য করুন