মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন লিওনেল মেসি। মাঠের পারফরম্যান্সের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ফ্লোরিডায় জমিয়ে ফেলেছেন নিজের জীবন ও সম্পত্তির সাম্রাজ্য। এবার জানা গেছে, মেসি মায়ামিতে চারটি বিলাসবহুল কন্ডো কিনেছেন, যার মধ্যে একটি কন্ডোর দামই প্রায় ৭৮ কোটি টাকা (৭.৫ মিলিয়ন ডলার)!
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখার পর থেকেই মেসি ও তার পরিবার সাউথ ফ্লোরিডায় স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছেন। স্ত্রী আন্তোনেলা এবং তিন পুত্রসহ এই পরিবারটিকে মায়ামির পরিবেশ একপ্রকার মুগ্ধ করে রেখেছে। এমনকি মেসির বড় ছেলে থিয়াগো এরই মধ্যে ইন্টার মায়ামির অনূর্ধ্ব-১৩ দলে খেলছে।
মেসির ইন্টার মায়ামির সঙ্গে বর্তমান চুক্তিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত খেলার সুযোগ রয়েছে, যা তাকে পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে রাখার পথ খুলে দেয়। তবে অনেকেই মনে করেন, পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষটা তিনি নিজ দেশের ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজেই করতে পারেন। তবুও তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেটারই ইঙ্গিত মিলছে তার একের পর এক রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ থেকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মেসি মায়ামির অত্যাধুনিক ‘Cipriani Residences’ প্রকল্পে চারটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এই বিল্ডিং এখনো নির্মাণাধীন, তবে ইতিমধ্যেই তিনি এই সম্পদে বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিটের দাম শুরুই ৭.৫ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। বাকি তিনটি অ্যাপার্টমেন্টের দাম যদিও প্রকাশ করা হয়নি, তবে সব মিলিয়ে এটি মেসির বিশাল সম্পত্তি সংগ্রহের অংশ হয়ে উঠছে।
এর আগে মেসি ফ্লোরিডায় আরও কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, যার মধ্যে কিছু সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা ও বিলাসবহুল কনডো রয়েছে। ফুটবল মাঠে তিনি যেমন বিশ্বসেরা, সম্পত্তি বিনিয়োগেও তিনি দারুণ বিচক্ষণতা দেখাচ্ছেন।
মেসি বর্তমানে এমএলএস ও কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ব্যস্ত সূচির মধ্যে রয়েছেন। ইনজুরি ব্যবস্থাপনার কারণে কিছু ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও, তার উপস্থিতি এখনো ইন্টার মায়ামির জন্য অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে বার্সেলোনায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, ফ্লোরিডায় তার এ ধরনের সম্পদ অর্জন এবং পারিবারিক স্থিতি ভবিষ্যতের বাসস্থান হিসেবেও মায়ামির সম্ভাবনার কথা বলে।
মন্তব্য করুন