মাঠের কৌশল আর কথার যুদ্ধে বিখ্যাত হোসে মরিনহো এবার নতুন বিতর্কে জড়ালেন এক অদ্ভুত কাণ্ডে। তুর্কি সুপার কাপে গালাতাসারের কাছে হারার পর প্রতিপক্ষ কোচ ওকান বুরুকের নাক চেপে ধরেন 'দ্য স্পেশাল ওয়ান'! সেই ঘটনার শাস্তি হিসেবেই তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ফেনারবাচের এই পর্তুগিজ কোচ।
তুর্কি কাপের উত্তেজনা শেষ হওয়ার পরও থামেনি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। ম্যাচ শেষে গালাতাসারায় কোচ ওকান বুরুকের পেছন থেকে গিয়ে তার নাক চেপে ধরেন হোসে মরিনহো, যার ফলে মাটিতে পড়ে যান বুরুক। পুরো ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) এই আচরণের জন্য শুরুতে ৫ থেকে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করছিল। তবে তদন্তে দেখা যায়, মরিনিও শুরুতে বুরুকের প্ররোচনার শিকার হয়েছিলেন। সেই বিবেচনায় শাস্তি কমিয়ে তিন ম্যাচে আনা হয়।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেও গালাতাসারায় বেঞ্চে থাকা সদস্যদের নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মরিনহো।
এবার মরিনহো ছাড়াও শাস্তির মুখে পড়েছেন আরও কয়েকজন খেলোয়াড়। গালাতাসারায় ফরোয়ার্ড বারিশ আলপার ইয়িলমাজ ও মিডফিল্ডার কেরেম দেমিরবায়, ফেনারবাচের মিডফিল্ডার ফ্রেড—তিনজনই তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফেনারবাচের আরেক খেলোয়াড় মার্ক হাকানকে এক ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ফেনারবাহচের সামনে থাকা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ—ত্রাবজনস্পোর, সিভাসস্পোর ও কায়সেরিসপোরের বিপক্ষে ডাগআউটে দেখা যাবে না মরিনহোকে। বর্তমানে সুপার লিগ টেবিলে গালাতাসারায়ের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পেছনে রয়েছে ফেনারবাচে, যদিও তাদের একটি ম্যাচ হাতে রয়েছে।
হোসে মরিনহোর ক্যারিয়ারে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে মাঠের বাইরের এমন আচরণ যে দলকে ভোগাতে পারে, তা এবার স্পষ্টই টের পাবে ফেনারবাচে।
মন্তব্য করুন