বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরেকটি চ্যালেঞ্জ পেরোনোর পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি যেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। উরুগুয়ের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলের জয়, থিয়াগো আলমাদার একমাত্র গোল—সবকিছু মিলিয়ে আর্জেন্টিনার কোচের কণ্ঠে প্রশংসা আর বাস্তবতার মিশ্র সুর।
‘এই মাঠে এসে প্রতিপক্ষের চাপ সামলাতে না পারলে ম্যাচ বের করে আনা কঠিন। আমাদের দল সেটা করতে পেরেছে,’ বললেন স্কালোনি। ‘যখন গোল করা দরকার, তখন গোল করতে হয়; যখন খেলার প্রয়োজন, তখন খেলা হয়।’
উরুগুয়ে প্রথমার্ধে কিছুটা আধিপত্য দেখালেও দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনা বদলে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে আর্জেন্টিনা। স্কালোনি ব্যাখ্যা করলেন, কীভাবে ছোট ছোট পরিবর্তনে গেমপ্ল্যান বদলানো হয়, কীভাবে দলটি পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নেয়। ‘প্রথমার্ধে ডান দিক থেকে ওরা বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল, আমরা সেটা বুঝে দ্বিতীয়ার্ধে বদল এনেছি। এই দল জানে কখন ধৈর্য ধরতে হবে, কখন সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
তবে স্কালোনির দুশ্চিন্তাও আছে—দলের ভবিষ্যৎ গঠন নিয়ে। তিনি জানেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারকাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে নতুনদের। ‘পূর্বসূরিদের জায়গায় নতুনদের আনতে হবে, কিন্তু সেটা কঠিন। একসময় ডি মারিয়া ছিলেন, মেসিও একদিন থাকবে না, প্যারেদেস, ডি পল—তাদেরও জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এখনই ভাবতে হবে আগামী প্রজন্মের কথা।’
এদিকে, স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে রদ্রিগো ডি পলকে পাওয়া যাবে। আর থিয়াগো আলমাদার পারফরম্যান্সেও বেশ খুশি তিনি। ‘ইউরোপে যাওয়াটা ওর জন্য বড় পরিবর্তন। জাতীয় দলে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বকাপে জায়গা প্রায় নিশ্চিত হলেও স্কালোনির পরিকল্পনা এখানেই থামছে না। তিনি চান, যোগ্য নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে। ‘যখন বাছাইপর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে, তখন আমরা আরও বিকল্প পরখ করব। কারণ ভবিষ্যতের জন্য দল গড়া জরুরি।’
মন্তব্য করুন