বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামাল এই বছর প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গভাবে মুসলিমদের জন্য মহাপবিত্র রমজান মাসের রোজা পালন করছেন। তবে অন্য ফুটবল দলের অনেক ফুটবলার যেমন ম্যাচের দিনেও রোজা রাখেন তিনিও কি তাই করবেন?
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও এএসের মতে এর উত্তর হলো না, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ইয়ামাল ম্যাচের দিন রোজা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ফলে পারফরম্যান্সের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন এই তরুণ প্রতিভা।
বার্সেলোনা বরাবরই রোজাদার ফুটবলারদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে, এবার ইয়ামালের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দলের পুষ্টিবিদ সিলভিয়া ট্রেমোলেদা এই মাসজুড়ে তার খাদ্যতালিকা পর্যবেক্ষণ করছেন, যেন রোজার কারণে তার ফিটনেস ও শক্তিতে কোনো প্রভাব না পড়ে।
তবে এবারের এই রমজানে রোজা রাখার পেছনে রয়েছে ইয়ামালের পারিবারিক আবেগও। তার দাদী ফাতিমা যিনি ইয়ামালের জীবনে অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে ওমরাহ পালনে মক্কায় অবস্থান করছেন, আর ইয়ামাল নিজেও পরিবারের সঙ্গে এই সময়টি ভাগ করে নিতে চান। এজন্য প্রতি সন্ধ্যায় তিনি তার চাচা আবদুলের বাড়িতে গিয়ে ইফতার করছেন।
ইয়ামালের মতো অনেক ফুটবলারই ম্যাচের দিনে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকেন, যাতে তারা শারীরিকভাবে সেরা অবস্থানে থাকতে পারেন। অতীতেও কেসিয়ের ও দেম্বেলের মতো খেলোয়াড়রা একই নিয়ম অনুসরণ করেছেন। বার্সার কোচিং স্টাফও এতে স্বস্তিতে, কারণ ইয়ামাল তার বয়সের তুলনায় অসাধারণ পেশাদারিত্ব দেখাচ্ছেন।
১৭ বছর বয়সেই পেশাদার ফুটবলের বড় মঞ্চে পারফর্ম করছেন ইয়ামাল। রোজা রেখেও নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখা তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, রমজানের পুরো সময় জুড়ে কেমন খেলেন এই তরুণ বিস্ময়!
মন্তব্য করুন