হাড়কাঁপানো শীত, বরফে ঢাকা মাঠ, আর বিপরীতে চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ—সব বাধা অতিক্রম করে আবারও ফুটবল বিশ্বকে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন লিওনেল মেসি। মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-১° ফারেনহাইট) তাপমাত্রার প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে যাওয়া কানসাসের চিলড্রেনস মার্সি পার্কে তিনি একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিলেন। তার করা একমাত্র গোলেই কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম লেগে স্পোর্টিং কানসাস সিটির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিল ইন্টার মায়ামি।
তীব্র তুষারঝড়ের কারণে একদিন পিছিয়ে যাওয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বুধবার রাতে। তবে সূচি পরিবর্তন করেও ঠান্ডা দূর হয়নি; বরং বরফে জমে থাকা মাঠে খেলতে নেমে দুই দলের খেলোয়াড়দের লড়তে হয়েছে প্রকৃতির বিরুদ্ধেও। বিশেষ করে মেসি ও তার সতীর্থদের গায়ে ছিল গ্লাভস, নেক ওয়ার্মার, এমনকি কেউ কেউ লম্বা লেগিংস পরে মাঠে নেমেছিলেন শীতের দাপট সামলাতে।
প্রথমার্ধে ইন্টার মায়ামি বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি। মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু লুইস সুয়ারেজ দুবার গোলের সম্ভাবনা জাগালেও ভাগ্য সহায় হয়নি। ম্যাচের ৮ মিনিটে তার একটি শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়, আর ৩৫ মিনিটে দূরপাল্লার এক প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
তবে ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটান মেসি। সাবেক বার্সা সতীর্থ সার্জিও বুসকেটসের দুর্দান্ত এক ক্রস-ফিল্ড পাস থেকে বল বুক দিয়ে নামিয়ে নেন মেসি। এরপর চোখের পলকে স্পোর্টিং কানসাসের ডিফেন্ডার এরিক থমির বিপরীতে দুর্দান্ত স্কিল দেখিয়ে নিজেকে ফাঁকা করে নেন এবং নিখুঁত শটে বল পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক জন পালসক্যাম্পের পাশ দিয়ে জালের ঠিকানায়।
এই জয়ের ফলে ইন্টার মায়ামি দ্বিতীয় লেগের আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ঘরের মাঠে ফিরবে। আগামী মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় ফিরতি লেগে তারা শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে মরিয়া থাকবে। তবে একবার যদি মেসি নিজের সেরা ছন্দে থাকেন, তাহলে প্রতিপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য!
মন্তব্য করুন