পিটার বাটলারের সঙ্গে নারী দলের সিনিয়র সদস্যদের দূরত্ব সৃষ্টির ইস্যুতে গঠিত কমিটি কাজ শেষ করেছে। জমা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনও। প্রতিবেদনের আলোকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ এম আউয়াল। এখন সে প্রতীক্ষা।
গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্যরা নারী ফুটবলার, কোচ পিটার বাটলার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আগেই কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কমিটির সদস্যরা সভা করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেটা বাফুফে সভাপতির দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে গঠিত বিশেষ কমিটির প্রধান ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ কাজ করেছি, সবকিছু বিবেচনা করে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সভাপতি সেটা দেখবেন, তারপর তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন।’
প্রতিবেদনে কী আছে—এটা এখনই প্রকাশ করবেন না কমিটির সদস্যরা। তারপরও গণমাধ্যমকর্মীরা অবধারিতভাবে প্রশ্ন করলেন—কি সুপারিশ করা হয়েছে? উত্তরে ইমরুল হাসান বললেন, ‘প্রতিবেদনে শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব হয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়েরা অনেক সম্মান এনে দিয়েছেন। কিন্তু শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারি না। সেটা কোচ কিংবা ফুটবলার যেই হোক।’ প্রতিবেদনের আলোকে বাফুফে সভাপতি একক সিদ্ধান্ত নেবেন, না কি নির্বাহী কমিটির সভা ডাকবেন—এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, কোচ বয়কট করা নারী ফুটবলার কিংবা কোচ পিটার বাটলার কারোর বিরুদ্ধেই কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি কমিটির পক্ষ থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে—এটা পরিষ্কার। তাই কোচ এবং সিনিয়র ফুটবলার দুপক্ষের জন্য কী সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করছে তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে।
মন্তব্য করুন