ক্রমাগত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মাতসুশিমা সুমাইয়া। বুধবার (০৫ জানুয়ারি) জিডি করেন তিনি। পিটার বাটলারের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপের মুখে আছেন নারী ফুটবলাররা। এজন্য তাদের মনোবিদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মেহরিন মোস্তফা নামে ওই মনোবিদ নারী জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে প্রাথমিকভাবে চার ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেন। ওই চার ফুটবলার হলেন সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার এবং মাতসুশিমা সুমাইয়া। আপাতত চার ফুটবলারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্রমন্বয়ে বিদ্রোহ করা বাকি নারী ফুটবলারদের সঙ্গেও কথা বলবেন মনোবিদ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমাগত প্রাণনাশ এবং ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন বলে মঙ্গলবার কালবেলাকে জানিয়েছিলেন মাতসুশিমা সুমাইয়া। জিডি সম্পর্কে বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমী বলেন, ‘মতিঝিল থানায় আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়, যাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাকে আসতে হবে। জিডির আবেদনের সঙ্গে কিছু প্রমাণও দিতে হবে। পরে সময়ে সুমাইয়াকে নিয়ে আমরা মতিঝিল থানায় গিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছি।’ খালিদ মাহমুদ নওমী নিশ্চিত করেন, মাতসুশিমা সুমাইয়া জিডি করলেও এ ফুটবলারকে যাবতীয় সহযোগিতা করছে বাফুফে।
হুমকি-পরবর্তী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন মাতসুশিয়া সুমাইয়া। তা প্রকাশ্যে আসে ফেসবুক পোস্টের পর। হুমকির পর সোমবার সকালে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তিনি।
মন্তব্য করুন