সিনেমার গল্পকে হার মানানোর ঘটনা হয়তো অনেকই শুনেছেন, কিন্তু কখনো কি শুনেছেন ঠিক সিনেমার মতোই জীবনের কাহিনী। ছোটবেলায় শিশুশিল্পী হিসেবে যার চরিত্রে অভিনয় করলেন, পরিণত বয়সে ঠিক তার জায়গাটায় দখলে নেওয়ার অপেক্ষায় দাড়িয়ে।
১৮ বছরের এক তরুণের বা পায়ের জাদুতে আজ মুগ্ধ ফুটবল বিশ্ব। আর্জেন্টিনার আকাশী-নীল জার্সিটা গায়ে ছিল বলেই হয়তো তাকে নিয়ে চর্চাটা একটু বেশী। অবশ্য তিনি যে এই বয়সেই যে খেলা দেখিয়েছেন তাতে তাকে নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। ছোটবেলায় একটা সিনেমায় মেসির শৈশবের দৃশ্যে যে ছেলেটি অভিনয় করেছিলেন সেই আকুনিয়াই যে আজ ফুটবল বিশ্বে নতুন মেসি হিসেবে খ্যাতি অর্জন কেরতে চলেছেন।
আলোচনার শুরুটা হয়েছে, ব্রাজিলের বিপক্ষে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে আকুনিয়ার চোখ ধাধানো বা পায়ের জাদু দেখার পর থেকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ৬ গোলে বিধ্বস্ত করার সেই ম্যাচে প্রথম দুটি গোলের মূল কারিগর ছিলেন এই আকুনিয়া। পুরো ম্যাচে তার উপস্থিতি বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে শৈশবের লিওনেল মেসিকে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই নামের পাশে নতুন মেসি ট্যাগ লাগানো আকুনিয়ার জন্মটাও যে লিওনেল মেসির শহরেই। ফুটবলের হাতেখড়িও হয়েছে সেই লিওনেল মেসির ছোটবেলার ক্লাবেই। সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মেসির চরিত্রে আর এখন মাঠে তার বাস্তবতা মিলিয়ে দিচ্ছেন দর্শকদের। ধারাবাহিকভাবে নৈপুণ্য দেখিয়ে এরই মধ্যে না ভুলতে পারার মতো কিছু স্মৃতিও জমা করেছেন আকুনিয়া।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ক্লাবের থেকে পেশাদার চুক্তি পাওয়া আকুনিয়া ২০২৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বয়সভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার রানার্সআপ হওয়ার পথে আলো ছড়িয়েছেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত বয়সভিত্তিক দলের ফুটবল বিশ্বকাপেও নতুন মেসির খেলা মুগ্ধ করেছে ফুটবলপ্রেমিদের।
পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কোনো লিওনেল মেসি আসবে না, এ তো চিরায়ত সত্য। কিন্তু তার ধারেকাছেও যদি কেউ যেতে পারে, সেটাই তো কল্পনাকে বাস্তব করার মতো। আকুনিয়ার সে যাত্রা হয়তো কেবল শুরু। এখন দেখার বিষয়, আকুনিয়অর এই যাত্রা কতটা মেসিময় হয়ে উঠতে পারে।
মন্তব্য করুন