ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে পা রেখেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটিতে বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়ার পর এবার নতুন যাত্রায় শেফিল্ড ইউনাইটেডের জার্সিতে দেখা যাবে তাকে। ‘দ্য ব্লেডস’ নামে পরিচিত এই ক্লাবে যোগ দিয়ে এখন থেকে হামজাকে ডাকা হচ্ছে নতুন নামে—‘বাংলাদেশি ব্লেড’।
২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার লেস্টারের সঙ্গে এখনো আড়াই বছরের চুক্তিতে রয়েছেন। তবে এই মৌসুমে ম্যাচ খেলার সুযোগ খুব একটা পাননি। প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচে খেলা এই মৌসুমে, সবমিলিয়ে মোট ছয়টি ম্যাচ। ফলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতেই হামজার নতুন ঠিকানা হলো শেফিল্ড ইউনাইটেড।
ধারে শেফিল্ডে যোগ দিলেও, চুক্তিতে স্থায়ীভাবে সেখানে থেকে যাওয়ার শর্তও রয়েছে। এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পেছনে কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াটফোর্ডে খেলার সময় এই কোচের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন হামজা। ক্লাবের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘ওয়াটফোর্ডে কোচের সঙ্গে অল্প সময় কাজ করলেও সেটি বেশ উপভোগ্য ছিল। যখন তিনি আমাকে ফোন করলেন, তখন আমার কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। শেফিল্ডে আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
শেফিল্ড ইউনাইটেডের পক্ষ থেকেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামজাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। তারা তাকে পরিচিতি দিয়েছে ‘বাংলাদেশি ব্লেড’ হিসেবে। ক্লাবটির এই ডাকনামে নিজেকে খুঁজে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত হামজা।
লেস্টার সিটির জার্সিতে ৯১টি ম্যাচ খেলেছেন হামজা চৌধুরী। বার্টন আলবিয়ন এবং ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলার পর লেস্টারের মূল দলে জায়গা করে নিলেও চলতি মৌসুমে তার পারফরম্যান্সে ছন্দপতন দেখা গেছে। তবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ায় তার সামনে আবার নিয়মিত খেলার সুযোগ তৈরি হলো।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্নপূরণ এখন সময়ের অপেক্ষা। ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফিফার কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর জাতীয় দলে তার অভিষেক এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কবে তাদের এই ‘বাংলাদেশি ব্লেড’ দেশের জার্সিতে আলো ছড়াবেন।
মন্তব্য করুন