নেইমারের নাম শুনলেই ভক্তদের মনে ভেসে ওঠে ফুটবলের এক অনন্য প্রতিভা। বার্সেলোনা থেকে পিএসজি—সবখানেই আলো ছড়ানো এই ব্রাজিলিয়ান তারকা বরাবরই আলোচনায়। তবে এবার তার একটি মন্তব্য ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। নিজেকে ভিনিসিয়ুস, এমবাপ্পে, সুয়ারেজের মতো তারকাদের চেয়ে সেরা দাবি করলেও মেসি-রোনালদো প্রসঙ্গে নীরব থাকলেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, লুইস সুয়ারেজ, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং আরও কিছু তারকার তুলনায় তিনি ভালো। তবে, যখন প্রসঙ্গ এসেছে লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর, সেখানে নেইমার দেখিয়েছেন বিনয়ের নজির।
ইনস্টাগ্রামে রোমারিওটিভি_অফিসিয়ালের একটি ভাইরাল ট্রেন্ডে অংশ নিয়ে নেইমার মজার ছলে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। যখন তাকে নিজের এবং অন্যান্য তারকার মধ্যে তুলনা করতে বলা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘আমি আর সুয়ারেজ? আমি... আমি আর ডি মারিয়া? আমি... নেইমার আর এমবাপ্পে? আমি... নেইমার আর মেসি? লিও... আমি আর রোনালদো? রোনালদো...’
২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে নেইমার তার আত্মবিশ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি মেসি ও রোনালদোর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। একসময় মেসি-রোনালদোর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত নেইমার স্পষ্ট করেছেন, এই দুই কিংবদন্তির সঙ্গে তার তুলনা করা ঠিক নয়।
সান্তোস থেকে শুরু করে বার্সেলোনা এবং পিএসজির হয়ে রেকর্ড গড়া পর্যন্ত নেইমারের ক্যারিয়ার ছিল রঙিন। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে ট্রেবল জয়ের সময় নেইমার ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন।
তবে, মেসি ও রোনালদো যেখানে বয়সের বাধা অতিক্রম করে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে থেকেছেন, সেখানে নেইমারের ক্যারিয়ারে এসেছে চড়াই-উতরাই। ইনজুরি, মাঠের বাইরের বিতর্ক এবং মনোযোগ নিয়ে প্রশ্নের কারণে তার সম্ভাবনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি বলে মনে করেন সমালোচকরা।
বর্তমানে নেইমার সান্তোসে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এই ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকেই তার উত্থান। সেখানে ফেরা মানে ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগে তারকা খেলোয়াড়দের আরও একবার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ।
সান্তোস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নেইমারের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। সমর্থকরাও সেই দিনের অপেক্ষায়, যখন তারা আবার মাঠে প্রিয় তারকাকে দেখতে পাবেন।
নেইমার হয়তো কখনও মেসি বা রোনালদোর মতো হতে পারবেন না, তবে ফুটবলে তার প্রভাব অনস্বীকার্য। তার সৃষ্টিশীলতা, দক্ষতা, এবং ক্যারিশমা ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা তৈরি করেছে।
মন্তব্য করুন