প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) থাকাকালীন ফুটবল বিশ্বের সেরা তারকা লিওনেল মেসি ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পের আচরণে পরিবর্তন আসে বলে দাবি করেছেন সেসময় পিএসজির অন্যতম সেরা তারকা নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার বলেন, মেসির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এমবাপ্পেকে ঈর্ষান্বিত করেছিল।
ব্রাজিলের সাবেক কিংবদন্তি রোমারিওর পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে নেইমার জানান, তিন তারকার মধ্যকার সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কই পিএসজিতে তাদের সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে দেয়নি।
নেইমার ২০১৭ সালে এমবাপ্পে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর তাকে নিয়ে উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার শুরুতে ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি মজা করে বলতাম, ও একদিন সেরা খেলোয়াড় হবে। আমি সবসময় ওকে সাহায্য করতাম, ওর সঙ্গে আলোচনা করতাম। ও আমার বাড়িতে আসত, আমরা একসঙ্গে ডিনার করতাম।’
কিন্তু ২০২১ সালে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এমবাপ্পের আচরণ বদলে যেতে থাকে বলে জানান নেইমার। তিনি বলেন, ‘মেসি আসার পর থেকে এমবাপ্পে মনে হয় কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। সে যেন আমাকে কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাইত না। সেখান থেকেই ঝগড়ার শুরু। তার আচরণ পরিবর্তন হতে থাকে।’
নেইমার আরও যোগ করেন, তিন তারকার এই "ইগো"র সংঘাতই পিএসজির সাফল্যের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ‘তুমি একা খেলতে পারবে না। মাঠে অন্যদের সাহায্য লাগবেই। সেরা হওয়াটা ভালো, কিন্তু বল কে দেবে? যদি কেউ দৌড়ায় না, কেউ একে অপরকে সাহায্য করে না, তাহলে জেতা অসম্ভব।’
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল-হিলালে যোগ দেওয়া নেইমার বর্তমানে ইনজুরির কারণে প্রায় খেলায় অনুপস্থিত। তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। নেইমার বলেন, ‘আমি এখানে সুখী। তবে ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে যেতে পারে। দেখা যাক সামনে কী হয়।’
নেইমারের এই মন্তব্য ফুটবলবিশ্বে আলোচনার নতুন খোরাক যোগাবে। পিএসজির ইতিহাসে মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে একসঙ্গে খেললেও তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েনই হয়তো তাদের সম্ভাবনাময় জুটিকে সফল হতে দেয়নি। এখন প্রশ্ন হলো, নেইমার কি ভবিষ্যতে আবার ইউরোপীয় ফুটবলে ফিরে আসবেন, নাকি সৌদি আরবেই তার ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় লিখবেন?
Neymar Jr: "Me and Mbappé? I had little issues with him. We had a little fight, but in the beginning, he was fundamental. He would come to my house, wed have dinner together but when Messi arrived, he got jealous, he didn't want to share with anyone and thats when the fights pic.twitter.com/cjKNQ3Ljoq— All About Argentina (@AlbicelesteTalk) January 17, 2025
মন্তব্য করুন