স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা দানি ওলমো ও পাউ ভিক্টোরের নিবন্ধন ইস্যুতে স্পেনের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (সিএসডি)-তে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্পেনে ‘কিংস ডে’ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আপিলের কার্যক্রম শুরু হবে মঙ্গলবার। তবে আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লড়াইয়ে বার্সেলোনা স্পষ্টতই পিছিয়ে রয়েছে।
কাতালান ক্লাবটি আপাতত ওলমো ও ভিক্টোরের নিবন্ধন বহাল রাখার জন্য একটি জরুরি সতর্কতামূলক আদেশ চাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাদের যুক্তি, দলবদলের জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরইএফএফ) নিয়মে থাকা ‘ফোর্স মাজোর’ (অপ্রত্যাশিত জরুরি অবস্থা) ধারাকে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে খেলোয়াড় নিবন্ধনের সুযোগ পাওয়া উচিত বলে দাবি করবে বার্সেলোনা।
সাধারণত জরুরি সতর্কতামূলক আদেশ একতরফা ভাবে গ্রহণ করা হয়, যেখানে প্রতিপক্ষের মতামত শোনার প্রয়োজন হয় না। তবে লা ভানগুয়ার্দিয়া (দিয়ারিও এসের মাধ্যমে) জানিয়েছে, সিএসডি এই বিষয়ে লা লিগা ও আরইএফএফের যুক্তিও শুনবে। ফলে বার্সেলোনার প্রত্যাশিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায় পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে।
এদিকে, আরেক পত্রিকা এল পেরিওডিকো সঙ্গে কথা বলা দুই ক্রীড়া আইন বিশেষজ্ঞের মতে, বার্সেলোনার পক্ষে রায় যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, সিএসডি যদি বার্সার দাবি মেনে নেয়, তাহলে তা আরইএফএফের সঙ্গে তাদের আগের সমঝোতার বিরোধিতা করবে এবং দুই সংস্থার মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি করবে। তাছাড়া, সিএসডি এই বিষয়ে শেষ কর্তৃপক্ষ নয়—বার্সেলোনা চাইলে সাধারণ আদালতে বিষয়টি নিয়ে যেতে পারে। ফলে সিএসডি চাইলে এই বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করেও নিজেদের দায় এড়াতে পারে।
তবে এই জটিলতার মাঝেও বার্সেলোনার জন্য এক সম্ভাব্য আশার খবর দিয়েছে আরএসিওয়ার। তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আরইএফএফ একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ওলমো ও ভিক্টোরের নিবন্ধন ইস্যু বর্তমান নিয়মের আওতায় পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। ফলে ফেডারেশন আগামী মাসগুলোতে নিয়ম পরিবর্তন করার কথা ভাবছে। এই তথ্যকে হাতিয়ার করেই বার্সেলোনা আদালতে লড়াই চালিয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে বার্সেলোনার পথ সহজ নয়। আরইএফএফ ও লা লিগা ইতোমধ্যেই তাদের কড়া নিয়ম মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে বার্সেলোনার চাওয়া পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে ক্লাবটি পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন দেখার বিষয়, বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত তাদের দুই খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করাতে সক্ষম হয় কি না।
মন্তব্য করুন