ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পাওয়ার খবর বেশ বড় আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু হামজা চৌধুরী কি সত্যিই পরিবর্তন আনতে পারবেন দেশের ফুটবলে? এই প্রশ্ন তোলার কারণ এর আগেও তারিক কাজি, জামাল ভূঁইয়ার মতো প্রবাসী খেলোয়াড়রা দেশের ফুটবলের ভাগ্য খুব একটা পরিবর্তন করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতিপত্র পাওয়ার পর থেকেই হামজা চৌধুরী বনে গেছেন দেশের সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড়। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এমন হাই প্রোফাইল ফুটবলার খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তাই তো তাকে নিয়ে থাকবে আলাদা উন্মাদনা, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার আগমনেও যদি দেশের ফুটবলের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে এ দেশের সমর্থকরা প্রশ্নের তীর ছুড়তে মোটেও দ্বিধা করবে না।
কাজী সালাউদ্দিনের আমলে দেশের ফুটবল দিনকে দিন কেবল নিচের দিকে নেমেছে। তলানিতে ঠেকে যাওয়া সেই ফুটবলকে পুনরুজ্জীবিত করতে দায়িত্ব নিয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তিনি দায়িত্বে আসার পরই হামজার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে জাতীয় দলের দরজা। সে কারণে তিনিও বেশ আশাবাদী হামজাকে নিয়ে। তার মতোই দেশের কোটি সমর্থক স্বপ্ন দেখছেন হামজার হাত ধরেই বদলে যাবে দেশের ফুটবল।
হামজা চৌধুরীকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, বাফুফেকে ধন্যবাদ, তারা বেশ কিছুদিন ধরেই হামজার বিষয়ে ফিফার সঙ্গে কাজ করছিল। হামজা আসায় আমাদের পারফরম্যান্স সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো হবে। আমি আশা করি, তিনি আসায় বাংলাদেশের ফুটবল বদলাবে। বাংলাদেশের অনেকে যারা বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন, হামজা চৌধুরীর বিষয়টি সবার মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আশা সঞ্চার করবে।
দেশের ফুটবলে এসেছে আরও এক সুসংবাদ। আগামী ১০ বছরের জন্য চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সরকারের কাছ থেকে লিজ পেয়েছে বাফুফে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজও খুব দ্রুতই শেষ হবে এবং আগামী জানুয়ারিতেই সেখানে শুরু হবে খেলা। স্টেডিয়াম থেকে বিদেশি খেলোয়াড়, সরকারের আর্থিক বরাদ্দ, সবই পাচ্ছে বাফুফে। এখন দেখার বিষয়, বাফুফে দেশের ফুটবলকে কতটা আনন্দের মুহূর্ত দিতে পারে।
মন্তব্য করুন