ফুটবল, যা আমেরিকায় সকার নামে পরিচিত, ভার্জিনিয়ার মতো রাজ্যে বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জায়ান আহমেদ ফুটবলে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছেন। মাত্র ২০ বছর বয়সী জায়ান জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ফুটবল খেলেন। লেফট-ব্যাক ও উইং—দুই পজিশনে সমান দক্ষ তিনি। দুর্দান্ত গতি ও ড্রিবলিং ক্ষমতার পাশাপাশি গোল করার অসাধারণ দক্ষতাও রয়েছে তার।
জায়ান এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ২০২১ সালে ডেনমার্কে ক্যাপেলি স্পোর্টস কাপে এবং ২০১৭ সালে বার্সেলোনায় আবিইআর কাপে অংশ নেওয়া তার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে অন্যতম। ফুটবল খেলার পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে স্নাতক করছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা অনুভব করেন জায়ান। সম্প্রতি পারিবারিক সফরে ঢাকায় এসে তিনি জানিয়েছেন, একদিন বাংলাদেশের জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি পরার স্বপ্ন দেখেন। তার বাবা শরীফ আহমেদও বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার। বাবা-মা উভয়ের সমর্থনে জায়ানের বাংলাদেশের পাসপোর্টের কাজ শুরু হয়েছে।
বাফুফের টেকনিক্যাল বিভাগ ইতোমধ্যেই জায়ানের ফুটেজ ও সিভি সংগ্রহ করেছে। দেশের একজন শীর্ষ কোচ বলেছেন, জায়ান বয়সভিত্তিক বা প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নিতে সক্ষম। তবে, তার বিকাশের জন্য আরও সুযোগ দরকার।
জায়ান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমার নিজের দেশ। আমি নিশ্চিত এখানে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব, শুধু একটু সুযোগ চাই।’ বাবার মতো তিনিও আশা করছেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার অংশ হতে পারবেন।
জায়ানের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, এবং হামজা চৌধুরীর মতো প্রবাসীরা ইতোমধ্যে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। বাফুফে তাদের যোগ্যতা ও আগ্রহ বিবেচনায় রেখে সুযোগ দিতে আগ্রহী।
জায়ানের মতো প্রতিভারা যদি সুযোগ পান, তবে বাংলাদেশের ফুটবল নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
মন্তব্য করুন