আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী দলের পাঁচ তারকা — লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্টিনেজ এবং গঞ্জালো মন্তিয়েল — সম্প্রতি আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশস (এএফএ) স্টুডিওতে একত্রিত হয়েছিলেন। তারা বিশ্বকাপের ম্যাচ-বাই-ম্যাচ যাত্রার স্মৃতি রোমন্থন করেন এবং কাতারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্তগুলো বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টাইন ভক্তদের সাথে শেয়ার করেন।
প্রথম ছবিটি ছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের, যেখানে ১-২ গোলে চমকপ্রদ হার দেখে আর্জেন্টিনা। সেই গোল নিয়ে দিবুকে মজা করে বাকিরা বললেন, ‘আরেকটু ভালো করতে পারতে!’ দিবু হেসে উত্তর দেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম শটেই হিমশীতল হয়ে গিয়েছিলাম,’ যা শুনে সবাই আরও হেসে উঠলেন।
দিবু আরও বলেন, ‘প্রথম গোলটা নিয়ে বেশি ভাবিনি। মনে হয়েছিল, ১-১ হলেই হবে, ফিরে আসবো। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটা সত্যিই হতাশাজনক ছিল।’
পরের ছবিতে এনজো ফার্নান্দেজের মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ জয়ের দুর্দান্ত গোলের মুহূর্ত ছিল। লাউতারো মার্টিনেজ বলেন, ‘সেই সময় আমরা খুব চাপে ছিলাম।’ এনজো স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বিশ্বকাপে গোল করার কথা কখনো কল্পনাও করিনি। ভাবিনি যে আমি সেখানে খেলতে পারবো, তাই মুহূর্তটা অবিশ্বাস্য ছিল।’
তবে তার এই উত্তরে সবাই হাসিতে ফেটে পড়ে। ম্যাক অ্যালিস্টার মজা করে বলেন, ‘সে তখন পুরোপুরি ভাইরাল হয়ে যাচ্ছিল।’ দিবু যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, ইনস্টাগ্রামও তখন তার জন্য ফেটে পড়েছিল।’
তৃতীয় ছবিতে ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে দিবুর গুরুত্বপূর্ণ সেই সেভের মুহূর্ত। দিবু বলেন, ‘ভ্যান ডাইককে (নেদারল্যান্ড অধিনায়ক) এর আগে এফএ কাপের ফাইনালে একটি পেনাল্টি নিতে দেখেছিলাম। কেপা একদিকে নড়েছিল, তবু ভ্যান ডাইক সেই দিকেই শট নিয়েছিল। ভেবেছিলাম এবারও তাই করবে। তবে সেই সেভের পর এক বছর পিঠের ব্যথা সহ্য করেছি।’
লাউতারো মার্টিনেজের টাইব্রেকারের জয়সূচক পেনাল্টির ছবিও উঠে আসে আলোচনায়। তখন লাউতারো চোটের সঙ্গে লড়ছিলেন। সতীর্থরা বলেন, ‘ওর অবস্থা খুব খারাপ ছিল।’দিবু জানান, পোল্যান্ড ম্যাচের আগে লাউতারোকে গোড়ালিতে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
ম্যাক অ্যালিস্টার বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের পরেই মনে হচ্ছিল, এবার হয়তো বিশ্বকাপ জিতবো।’
তারা আরও স্মরণ করেন মন্তিয়েলের ফাইনালের জয়সূচক পেনাল্টি, দিবুর গোল্ডেন গ্লাভস ট্রফিতে চুমু খাওয়া এবং লাউতারোর ডাচ গোলকিপার নোপার্টের সঙ্গে সেই টানটান মুহূর্ত।
এএফএ স্ট্রিমিং চ্যানেল এই সাক্ষাৎকারকে উল্লেখ করে বলে, ‘আমাদের জীবনের সেই ঐতিহাসিক ফাইনালের দুই বছর পর, পাঁচ যোদ্ধা একত্রিত হয়ে স্মৃতির পাতা উল্টে দেখলেন। এ এক চিরস্মরণীয় মুহূর্ত।’
মন্তব্য করুন