ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির ইউক্রেনের উইঙ্গার মাইকাইলো মুদ্রিক ড্রাগস টেস্টে পজিটিভ ফলাফল পাওয়ার পর সাময়িকভাবে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ইউক্রেন জাতীয় দলের এই তারকা নিজের নির্দোষিতার দাবি করলেও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো ধরনের ফুটবলে অংশ নিতে পারবেন না।
মুদ্রিক ২৮ নভেম্বর হাইডেনহাইমের বিপক্ষে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে গোল করেছিলেন। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতির পর মুদ্রিকের ড্রাগস টেস্টে নিষিদ্ধ পদার্থ মেলডোনিয়াম পাওয়া গেছে। সাধারণত হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধটি ক্রীড়াবিদদের সহনশীলতা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
চেলসি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) আমাদের খেলোয়াড় মাইকাইলো মুদ্রিকের একটি রুটিন ড্রাগস টেস্টে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গেছে বলে যোগাযোগ করেছে। ক্লাব এবং মাইকাইলো উভয়েই এফএর পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। আমাদের খেলোয়াড়রা নিয়মিত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। মাইকাইলো জোর দিয়ে বলেছে যে তিনি কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করেননি। এখন এফএ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে সমস্যার সমাধানে মনোযোগ দেবেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুদ্রিক বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি যে আমার দেওয়া একটি নমুনায় নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করিনি বা কোনো নিয়ম ভঙ্গ করিনি। কীভাবে এটি ঘটল, তা জানতে আমি আমার দলের সঙ্গে কাজ করছি। আমি জানি যে আমি কিছু ভুল করিনি এবং আশা করছি শিগগিরই মাঠে ফিরতে পারব। তদন্ত প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার কারণে এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না, তবে যত দ্রুত সম্ভব বিস্তারিত জানাব।’
এফএর নিয়ম অনুযায়ী, ড্রাগস টেস্টে পজিটিভ ফল পাওয়ার পর একজন খেলোয়াড় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হতে পারেন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পান। এখন মুদ্রিক তাঁর ‘বি’ নমুনার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। দ্য টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রিক সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তিতে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন মুদ্রিক। আট বছরের চুক্তিতে তিনি ক্লাবের হয়ে ৭৩টি ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন। আগস্টে নিষিদ্ধ পদার্থ পরীক্ষায় পাশ করার পর থেকে তার ব্যক্তিগত রুটিনে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি করেছেন মুদ্রিক।
ড্রাগস টেস্টে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া এবং মুদ্রিকের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চেলসির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। এখন দেখা যাবে, তদন্তের ফলাফলে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে কী প্রভাব ফেলে।
মন্তব্য করুন