ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম মনে করেন, মাঠে ম্যানইউর দুই ফুটবলার রাসমুস হইলুন্দ এবং আমাদ দিয়ালোদের মধ্যে সংঘর্ষই দলের জন্য ইতিবাচক। উয়েফা ইউরোপা লিগে ভিক্টোরিয়া প্লজেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পর ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই এই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবারের (১২ ডিসেম্বর) ম্যাচে হইলুন্দের জয়সূচক গোলের পরও তিনি ছিলেন অসন্তুষ্ট। শেষ মুহূর্তে বল না দেওয়ায় আমাদ দিয়ালোর ওপর রেগে যান হইলুন্দ। ম্যাচের শেষ বাঁশির পরই তিনি আমাদের সঙ্গে এই নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে কোচ আমোরিম এ ঘটনাকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন না, বরং এটিকে দলের আবেগ এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের নিদর্শন বলেই মনে করছেন।
এই বিষয়ে আমোরিম বলেন, ‘আমার কাছে এটি একদম পারফেক্ট। আমাদের ভেতরে আবেগ থাকা উচিত। পরিবারের মতোই যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি, সেটাই ভালো লক্ষণ। এটা খুবই ইতিবাচক। আমরা যখন কিছু অনুভব করি, তখনই এমনটা হয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখন আপনি কোনো কিছুর পরোয়া করেন না, তখন আপনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না। কিন্তু যখন আপনি কিছু নিয়ে চিন্তা করেন, তখনই আপনি আপনার ভাই, বাবা-মা বা দলের সতীর্থের সঙ্গে তর্ক করেন। এটি খুব স্বাভাবিক, স্বাস্থ্যকর এবং ইতিবাচক বিষয়। আমি আমার খেলোয়াড়দের এবং অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজকে পরিস্থিতি সামলাতে দিয়েছিলাম। যদি মনে হয় বিষয়টি অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন আমি নিজে হস্তক্ষেপ করব। তবে এটি তাদের নিজস্ব জায়গা। তারা আলোচনা করবে, তর্ক করবে এবং এটিই দলের জন্য জরুরি।’
মাঝে মাঝে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তারা যথেষ্ট চেষ্টা করেন না এবং নিজেদের কোচকে সমস্যায় ফেলে দেন। তবে হইলুন্দ-আমাদের এই তর্কে মনে হচ্ছে দলটির মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। রুবেন আমোরিমের অধীনে ইউনাইটেডের এই লড়াকু মনোভাব নতুন দিক নির্দেশ করছে, যদিও এখনো আমোরিমের সময়ের শুরু মাত্র।
ইউরোপা লিগে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার পর এবার ইউনাইটেডের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। রোববারের সেই গুরুত্বপূর্ণ ডার্বিতে দুই দলেরই নজর থাকবে জয়ের দিকে।
মন্তব্য করুন