বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সংবর্ধনার জন্য কক্সবাজারে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল নারী সাফজয়ী দলকে। সংবর্ধনার পর ফুটবলাররা বায়না ধরেন অতিরিক্ত এক দিন সমুদ্রতীরে থাকার। বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সে চাওয়া পূরণ করেন। কক্সবাজারে ঘোরাফেরা এবং শপিংয়ের ফাঁকে সতীর্থ শাহেদা আক্তার রিপার জন্মদিনও পালন করলেন সাফজয়ীরা।
দলের ২৩ সদস্যের মধ্যে ব্যক্তিগত কারণে ঢাকায় ফিরে আসেন সানজিদা আক্তার। বাকি ২২ সদস্যের সঙ্গে সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু এবং ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন। সকালে নাশতার পর দলের সদস্যরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে বেড়াতে যান। এক দল গেছে হিমছড়ি, আরেক দল কলাতলী বিচে সময় কাটায়।
ঘোরাফেরার পর শপিং করে বিকেলে হোটেলে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা। হোটেল থেকে হাঁটা দূরত্বে শাহেদা আক্তার রিপার বাসা। সন্ধ্যায় সেখানে যান সাফজয়ী কন্যারা। ১৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান নারী ফুটবলাররা।
বিওএর দেওয়া সংবর্ধনার কারণে নারী ফুটবলারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও খুশি হতে পারেননি নারী দলের কোচিং স্টাফরা। কারণ, দলের ২৩ ফুটবলারকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা করে। কোচিং স্টাফদের দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে।
এ নিয়ে এক কোচিং স্টাফ বলেন, ‘অঙ্কটা জানার পর আমরা বিব্রত হয়েছি। কোচিং স্টাফদের এভাবে বিব্রত না করে বরং পুরো অর্থটা ফুটবলারদের মাঝে ভাগ করে দেওয়াই ভালো ছিল।’
অনুষ্ঠানে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা গোলরক্ষককে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেরা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা এবং সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন