বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলতে চায় না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী ফিরোজ রশীদ স্বাক্ষরিতপত্রে তা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে সমর্থকদের একটি দল মোহামেডানের গোলরক্ষককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল এবং ভুভুজেলা বাঁশির মাধ্যমে বিরক্ত করেছে। পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছিল। ৬২ মিনিটে উগ্র সমর্থকরা স্মোক ফ্লায়ার মোহামেডানের খেলোয়াড়দের ওপর নিক্ষেপ করে, যে কারণে খেলোয়াড়দের তীব্র চোখ জ্বালা এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সমর্থকরা স্বীকার করেছে, পিছিয়ে থাকার কারণে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দেশিত হয়ে ওই ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছিল।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফিফা নিয়ম অনুযায়ী কোনো ম্যাচে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ফল বিপক্ষ দলের অনুকূলে দেওয়া হয়। বিশ্বে এ ধরনের অনেক নজির রয়েছে। ফুটবল খেলার বৃহত্তর স্বার্থে ক্লাব কর্তৃপক্ষ খেলা চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ওই ঘটনায় বাফুফে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ফিফাকে অবহিত করতে বাধ্য হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আরও লক্ষ্য করেছি, প্রতি ম্যাচেই বসুন্ধরা কিংসের উগ্র সমর্থক গোষ্ঠী প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল এবং মারমুখী আচরণ করে। তাতে বিপক্ষ দলের সমর্থকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ ছাড়া ম্যাচ উপভোগের জন্য মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, পরিচালক, ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভবিষ্যতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বসুন্ধরা কিংসে কোনো ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে না। বাংলাদেশের ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে ফিফাকে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন