নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং তার দুই সতীর্থ মাসুরা পারভিন ও আফিদা খন্দকারকে সংবর্ধনা দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন ফুটবলারকে পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আফিদা খন্দকার ও মাসুরা পারভিন জাতীয় দলের রক্ষণে খেলেন। সাবিনা খাতুন মূলত ফরোয়ার্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাঝমাঠে খেলতে দেখা যাচ্ছে অভিজ্ঞ এ ফুটবলারকে।
২০২২ সালে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি সেই নেপালেই শিরোপা ধরে রাখে লাল-সবুজরা। এ যাত্রায়ও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনা খাতুন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় ক্রীড়া কার্যক্রম নিয়ে আক্ষেপ ঝরল সাবিনা খাতুনের কণ্ঠে।
‘কেবল ফুটবল নয়, বিভিন্ন খেলায় সাতক্ষীরার ছেলেমেয়েরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সাতক্ষীরায় বড় ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন হতে দেখিনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্ম থেকে ক্রীড়াবিদ তুলে আনার কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না’—অনুষ্ঠানে বলছিলেন সাবিনা খাতুন।
কেবল সাবিনারা নন, মোস্তাফিজুর রহমানের উঠে আসা এ জেলা থেকে। ফুটবল-ক্রিকেটের বাইরে অন্যান্য ক্রীড়া ডিসিপ্লিনেও দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছেন এ জেলা থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদরা।
সে ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে, স্থানীয়দের সে আহ্বান জানালেন নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ‘আমরা চাই সাতক্ষীরায় ভালোমানের ক্রীড়াবিদ উঠে আসুক। এজন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাব, ফুটবলের পাশাপাশি যেন অন্যান্য খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করা হয়।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাসুরা পারভিন বলেন, ‘আমাদের কাজ মাঠে খেলা, এ কারণে মাইক্রোফোনে কথা বলায় অভ্যস্ত নই। খেলাই আমার জীবনের সব। খেলাকে ভালোবেসেই আজ আমরা এখানে এসেছি। আপনাদের সমর্থন অনুপ্রেরণা দেয়। আমি চাই পরবর্তী প্রজন্মও অনুপ্রাণিত হোক।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এই তিন মেয়ে শুধু সাতক্ষীরার নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাদের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, ফুটবল কোচ ও আফিদার বাবা প্রিন্স খন্দকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন