বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে গত মৌসুমে দারুণ নৈপুণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেলেন আহসান হাবিব বিপু। এ স্বীকৃতি জাতীয় দল সংক্রান্ত আক্ষেপও উস্কে দিল। লিগের সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি পেয়েও যে জাতীয় দলে উপেক্ষিত ৩৪ বছর বয়সী কাস্টডিয়ান!
প্রথমে দেখে নেওয়া যাক আহসান হাবিব বিপুর গত মৌসুমের পরিসংখ্যান। প্রিমিয়ার লিগে পুলিশ এফসির ১৮ ম্যাচের ১৭টি খেলেছেন এ গোলরক্ষক। ১৬ ম্যাচ ছিলেন একাদশে, আরেকটি বদলি হিসেবে। ১৭ ম্যাচের আটটি ছিল ক্লিন-শিট, যা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ক্লিন-শিট রাখা গোলরক্ষকের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার কথা; কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম ঘটছে। সেটা হাভিয়ের ক্যাবরেরার খেলার ধরনের কারণে।
জাতীয় দলে এ স্প্যানিশ কোচের সহকারী হাসান আল মামুন স্থানীয় মিডিয়াকে সে কথাই বলেছেন, ‘আমাদের খেলার স্টাইলের সঙ্গে যায়—এমন গোলরক্ষকদেরই জাতীয় ডাকা হয়। আহসান হাবিব বিপু ভালো গোলরক্ষক। সে আমাদের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।’
একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের সেরা হিসেবে স্বীকৃতি যে দেওয়া হলো, তার মানদণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুললেন জাতীয় দলের সাবেক এ ফুটবলার। হাসান আল মামুনের কথায়, ‘লিগের সেরাদের কীভাবে এবং কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বাছাই করা হয়েছে—এ ব্যাপারে আমরা অবগত নই।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলে খেলেছেন মিতুল মারমা। গেল মৌসুমে যিনি শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১২১২ মিনিট খেলেছেন। সব ম্যাচেই একাদশে ছিলেন অন্যতম দেশসেরা গোলরক্ষক। স্কোয়াডে থাকা বাকি দুই গোলরক্ষক ছিলেন আনিসুর রহমান ও মেহেদি হাসান শ্রাবণ। দুজনই খেলেন বসুন্ধরা কিংসে। আনিসুর রহমান গত মৌসুমে ১১ ম্যাচে ৮৩২ মিনিট খেলেছেন। মেহেদি হাসান শ্রাবণ খেলেছেন ১০ ম্যাচে ৭৮৮ মিনিট। প্রাথমিক দলে ছিলেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। গত কয়েক মৌসুম ধারাবাহিকতা দেখানো এ কাস্টডিয়ান গত মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ১৪২১ মিনিট খেলেছেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির হয়ে।
মন্তব্য করুন