দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ১১তম ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে প্যারাগুয়ের কাছে পরাজিত হয়। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার পরাজয় ছাপিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটে ব্রাজিলিয়ান রেফারি অ্যান্ডারসন ড্যারনকোর পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তে, যেখানে তিনি প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার ওমর আলডেরেটেকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হন, যা তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দিতে পারতো।
ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে আক্রমণে থাকা লিওনেল মেসিকে মাঝমাঠে ফাউল করেন আলডেরেট, যা পরিষ্কারভাবে লাল কার্ড পাওয়ার মতো অপরাধ। কিন্তু ড্যারনকো বিষয়টি উপেক্ষা করেন এবং আর্জেন্টাইন শিবিরে ক্ষোভের সঞ্চার করেন। লিওনেল স্কালোনি এবং মেসি ক্ষুব্ধভাবে রেফারির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন এবং স্কালোনি তাকে “চতুর” বলে আক্রমণ করেন।
প্রথমার্ধের শেষে মেসি নিজে রেফারির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির এই তীব্র প্রতিবাদ ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলডেরেট আবার গোল করে প্যারাগুয়েকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন, যা আর্জেন্টিনার জন্য পরাজয়ের চূড়ান্ত ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। আলডেরেটের এই গোল ডিফেন্সোরেস ডেল চাকো স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ের সমর্থকদের উল্লাসের ঝড় তোলে, অন্যদিকে আর্জেন্টাইন শিবিরে ড্যারনকোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনিকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমি অনেক কিছু বলতে পারি, কিন্তু তা বলে কোনও লাভ হবে না। এটি যেন কোনও অজুহাত না হয় এবং মানুষ যাতে ভুল অর্থ না নেয়, সেজন্য আমি কিছু বলছি না। আমরা সবাই মাঠে যা ঘটেছে, তা দেখেছি। এতে ফলাফলের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি,’ বলে তিনি বিতর্ক শেষ করতে চান।
ড্যারনকোর সিদ্ধান্তে আর্জেন্টিনার অসন্তোষের কারণে ম্যাচের উত্তেজনা আরও তীব্র হয় এবং লিওনেল মেসি ও স্কালোনির প্রতিবাদ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন