ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা যেকোনো ফুটবলারের জন্যই পরম আরাধ্যের। দেশের ফুটবলের সাবেক তারকা আমিনুলের জন্যও ব্যাতিক্রম ছিলো না। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড আমিনুলকে দলে ভেড়াতে চাইলেও সেই সুযোগ হয়নি আমিনুলের। এমনকি সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের থেকে আসা প্রস্তাবও দেখেনি আলোর মুখ।
জানা গেছে, কেবল ভুল যোগাযোগের কারণে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে খেলা হয়নি আমিনুলের। সেই সময় নিউক্যাসল ছিল ইংল্যান্ডের সেরা ক্লাবগুলোর একটি। আর আর হিলালের প্রস্তাবটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অবহেলার কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। ধারণা করা হয়, দেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যর্থ চুক্তিগুলোর একটি ছিল এটি।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে মোহামেডানের জার্সি গায়ে জড়ানো আমিনুল ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন দেশের ফুটবলের ওয়ান ম্যান আর্মি। ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়ে মুক্তিযোদ্ধার জার্সিতে ২০০৩ সালে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে হয়ে ওঠেন ন্যাশনাল হিরো। এরপর ওই বছরই বাংলাদেশের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূল কারিগর ছিলেন আমিনুল হক। ফাইনালে ম্যাচে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত ভুমিকা রেখে হযেছিলেন ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট।
জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলেও উজ্জ্বল ছিলেন আমিনুল হক। ২০০৫ সালে ব্রাদার্সকে ঢাকা লীগ এবং ফেডারেশন কাপ জিতান আমিনুল। এরপর আবারও মোহামেডানে জার্সি গায়ে জড়িয়ে ক্লাবটিকে পরপর দুবছর জিতিয়েছেন ফেডারেশন কাপ। শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের জার্সিতেই ২০১৩ সালে ১৯ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন এই কিংবদন্তি গোলকিপার।
ফুটবলের ক্যারিয়ার শেষ করে যোগ দেন রাজনীতিতে। তবে সেখানে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হয় তাকে। হাসিনা সরকারের আমলে ভিন্নমতের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় জেলেও যেতে হয়েছে দেশের কিংবদন্তী এই গোলকিপারকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বাংলাদেশে পুরো ক্রীড়াঙ্গনেই আলো ছড়াচ্ছেন আমিনুক হক। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, সব ধরনের খেলাকে রাজনীতি মুক্ত করার লক্ষ্যেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মন্তব্য করুন