কিংস অ্যারেনায় শেষ বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের ফুটবলারদের হতাশা প্রকাশ পেল, আর উল্টো দিকে স্বস্তির হাসি মালদ্বীপ দলের মুখে। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচের প্রথম লড়াইয়ে মালদ্বীপ ১-০ গোলে বাংলাদেশকে পরাজিত করেছে। প্রায় এক বছরের বিরতির পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা মালদ্বীপ এই জয়ের মাধ্যমে তাদের হারানো প্রতিশোধও নিয়ে নিলো।
গত বছর এই মাঠেই বাংলাদেশ ২-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী পর্বে পা রেখেছিল, যা মালদ্বীপকে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব থেকে ছিটকে দেয়। সেই পরাজয়ের পর থেকে মালদ্বীপের ফুটবল কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। তাদের ঘরোয়া লিগ এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ থাকায় এক বছর পর মাঠে ফেরা দলটি এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিনিয়ে নিল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে মালদ্বীপের আলী ফাসি ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন, যা শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোল হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশ বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনের কিছু সুন্দর শট প্রতিহত করে মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসেইন শরীফ।
বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তন এনে খেলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সোহেল রানার দূরপাল্লার শট সাইড পোস্টে লাগা এবং রাকিবের ব্যাকহিল গোল লাইন অতিক্রম না করায় বাংলাদেশ গোলের স্বাদ নিতে ব্যর্থ হয়। মালদ্বীপও বেশ কিছু সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দক্ষতার সাথে তাদের আক্রমণ প্রতিহত করে।
ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও, গোলের আক্রমণে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষায় ভাঙন ধরাতে পারেনি। গোলরক্ষক মিতুল মারমার কয়েকটি ভুলে বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিও ছিল।
প্রথম একাদশে আজ প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে মিডফিল্ডার কাজেম শাহ বাংলাদেশের সমর্থকদের মন কেড়েছেন। সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহ’র ছেলে কাজেম গতি, বল নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পাসে তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন