সময়টা কোনভাবেই ভালো যাচ্ছে না স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের। একে তো খেলার মাঠে একের পর এক পরাজয় তারপরেও আবার পুরো স্কোয়াডে ইনজুরির থাবা।
গতকাল শনিবারের ম্যাচের আগেই রিয়ালে ফুটবলারদের ২১টি আলাদা ইনজুরির দেখা মিলেছে। আর শনিবার (৯ নভেম্বর) ওসাসুনার বিরুদ্ধে ৪-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে সেই সংখ্যা বেড়েছে আরো তিন। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এসিএল ইনজুরির শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও, যা তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাবে অন্তত নয় মাসের জন্য। এছাড়া রদ্রিগো ও লুকাস ভাসকোয়েজও প্রথমার্ধেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন, যা মাদ্রিদের চলমান ইনজুরি সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মাদ্রিদে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র একটি হ্যাটট্রিক করে দলকে জয় এবং জুড বেলিংহ্যামও তার প্রথম গোলটি করেন, তবে এ জয় কিছুটা ম্লান হয়ে যায় মিলিতাও, রদ্রিগো এবং ভাসকোয়েজের ইনজুরিতে। কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘ম্যাচটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, কিন্তু প্রথমার্ধে তিনটি ইনজুরি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই ক্যালেন্ডারে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের সুযোগ কম থাকে, ফলে ইনজুরির ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
রদ্রিগো, যিনি সম্প্রতি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন, তাকে ২০ মিনিটের মাথায় মাঠ থেকে সরিয়ে ব্রাহিম দিয়াজকে আনা হয়। এরপর সেন্টার-ব্যাক মিলিতাও মাঠে চিকিৎসা নিয়ে ১০ মিনিট পর স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন এবং তার জায়গায় রাউল আসেনসিওকে আনা হয়।
মাদ্রিদ শনিবার নিশ্চিত করে যে, মিলিতাওর বাম এসিএল ছিঁড়ে গিয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তার অস্ত্রোপচার করা হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ই তিনি ডান পাঁয়ের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন। গত বছরে মাদ্রিদের এটি চতুর্থ এসিএল ইনজুরি, এর আগে থিবো কুর্তোয়া এবং ডেভিড আলাবাও একই ধরনের ইনজুরিতে ভুগেছেন।
লুকাস ভাসকোয়েজ প্রথমার্ধের শেষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এবং তার জায়গায় লুকা মড্রিচ খেলায় অংশ নেন। বর্তমানে মাদ্রিদের রক্ষণে বেশ ঘাটতি রয়েছে; ড্যানি কার্ভাহালও মৌসুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন এবং আলাবা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি। গোলরক্ষক কুর্তোয়া এবং মিডফিল্ডার অরেলিয়েন টচুয়ামেনিও ইনজুরিতে আছেন, ফলে মাদ্রিদ এখন একাডেমি থেকে তরুণ প্রতিভা রাউল আসেনসিওকে দলে এনেছে।
জানুয়ারির দলবদল প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবো। এখন কিছু করার নেই, জানুয়ারিতে হয়তো কিছু করা যেতে পারে।’ ইনজুরি প্রসঙ্গে রিয়ালের মরোক্কোর ফরোয়ার্ড ব্রাহিম দিয়াজ বলেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে যায় যখন আমি আমার সতীর্থদের এই অবস্থায় দেখি।’
ওসাসুনার বিরুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে মাদ্রিদ তাদের দুই ম্যাচের পরাজয় কাটিয়ে উঠেছে। মাদ্রিদ আগামী ২৪ নভেম্বর লেগানেসের বিপক্ষে এবং ২৭ নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলতে নামবে।
এই জয়ের পর মাদ্রিদ লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে, যারা রোববার তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে।
মন্তব্য করুন