ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার জুনিয়র পুরো বিশ্বকে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন স্বদেশের ক্লাব সান্তোসের হয়ে। ব্রাজিলিয়ান সেরি ‘এ’তে সবাইকে মুগ্ধ করার পর খেলেছেন বার্সেলোনা ও পিএসজির মতো বিখ্যাত ক্লাবে। ব্রাজিল ফুটবলের অন্যতম সেরা এই তারকা এখন খেলেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে। তবে ফুটবলের দলবদলের বাজারে গুঞ্জন এই মৌসুম শেষেই সৌদি ছাড়তে পারেন নেইমার। তবে সেক্ষেত্রে তিনি নাকি ইউরোপ নয় আবারও ফিরতে পারেন তার পুরোনো ক্লাব সান্তোসে।
ব্রাজিলের সাও পাওলোর ক্লাব সান্তোসের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে ৩২ বছর বয়সী এই তারকাকে দলে ফেরানোর জন্য আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে খেলছেন, তবে গুঞ্জন রয়েছে যে তিনি সেখানে আর থাকবেন না।
অবশ্য এর আগে মায়ামিতে একটি জমি কেনার পর, অনেকেই আশাবাদী হয়েছিলেন যে নেইমার আবারও লিওনেল মেসির সাথে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে পারেন।
বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ইনজুরির জন্য এক বছর মাঠের বাইরে কাটানোর পর নেইমার আবারও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন। সান্তোসের ম্যানেজমেন্টও জানিয়েছে যে নেইমারকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে আলাপ শুরু হয়েছে। তবে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে দলটির শীর্ষ পর্যায়ে ফেরার নিশ্চয়তা পেলে এবং নেইমার ফিট থাকলে এই আলোচনা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। সান্তোস বর্তমানে ব্রাজিলের সেরি বি-তে শীর্ষে রয়েছে, এবং এই মৌসুমে সেরি এ-তে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ আগস্ট নেইমার সান্তোসের হয়ে অভিষেক করেন এবং ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় প্রায় ৮৮.২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে যোগ দেন। সান্তোসের হয়ে তিনি ২২০ ম্যাচে ১৩৮টি গোল করেন এবং পাঁচটি শিরোপা জেতেন—তিনটি টুর্নামেন্ট পাউলিস্তা, একটি কোপা ডো ব্রাজিল এবং একটি কোপা লিবার্তাদোরেস। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ২০১১ সালে তিনি ব্যালন ডি'অর তালিকায় ১০ম স্থানে ছিলেন, যা দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়দের জন্য বিরল সম্মান।
এদিকে বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার পর, নেইমার এবং মেসি আবারও পিএসজিতে একসঙ্গে খেলেন। পিএসজি শেষের পর নেইমার সৌদি আরবে এবং মেসি যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করেছেন। সম্প্রতি নেইমার মায়ামিতে একটি জমি কিনেছেন যেখানে তিনি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। ইন্টার মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্টিনো মজা করে মন্তব্য করেন যে, ‘যদি এখানে বাড়ি কিনলে সবাই ইন্টার মায়ামিতে আসে, তবে রিয়েল এস্টেট এজেন্সিগুলোকেই বন্ধ করতে হবে।’ অর্থাৎ, নেইমার ও মেসির আবারও একসঙ্গে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
মন্তব্য করুন